অরুণা আসফ আলি, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। ভারতকে ব্রিটিশদের অধীন থেকে মুক্ত করতে ১৯৪২ সালে মহাত্মা গান্ধী ডাক দিয়েছিলেন হয় করো না হয় মরো-র। আর সেই আন্দোলনে শরিক হয়েছিলেন অরুণা আসফ আলি। যার জন্য অগাস্ট আন্দোলনের রানি বলেও তাঁকে আজও স্মরণ করা হয়। পঞ্জাবের কালকায় এক বাঙালি পরিবারে জন্ম অরুণার। বিয়ের আগে তাঁর নাম ছিল অরুণা গঙ্গোপাধ্যায়।
সালটা ছিল ৯৪২ সালের ৯ অগাস্ট। মহাত্মা গান্ধীর তখন আওয়াজ উঠল ইংরেজ ভারত ছাড়ো। তখনকার দিনের বম্বে, এই সময়ের মুম্বই, সেখানকার সেখানে গোয়ালিয়া ট্যাঙ্ক ময়দানে কংগ্রেসের জাতীয় অধিবেশন বসল। সভাপতি মৌলানা আবুল কালাম আজাদ। সেই সভাতেই ঠিক হল যে কংগ্রেসের নেতৃত্বে এবার ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সূচনা করা হবে। স্লোগান হবে ইংরেজ ভারত ছাড়ো। এই অন্দোলনেরও পুরো নেতৃত্বে থাকবেন মহাত্মা গান্ধী। জাতীর জনক ডাক দিলেন হয় করো, না হয় মরো। গান্ধীজির ডাক শুনে এগিয়ে এলেন ৩২ বছরের এক যুবতী। তিনি উত্তোলন করলেন ভারতের জাতীয় পাতাকার। যা ব্রিটিশ রাজত্বে নিষিদ্ধ ছিল। এই যুবতীর নাম অরুণা আসিফ আলি। পঞ্জাবের কালকায় এক বাঙালি পরিবারে জন্ম অরুণার। বিয়ের আগে তাঁর নাম ছিল অরুণা গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর চরম সাহসের জন্য অগাস্ট আন্দোলনে তাঁকে রানি বলে আজও সম্বোধন করা হয়। অরুণার পরিবার ছিল ব্রাহ্ম সমাজে দিক্ষীত এবং গোড়া ব্রাহ্মণ পরিবার। কিন্তু, পরিবারের আপত্তিকে ঠেলে ফেলে দিয়েই তিনি কংগ্রেসের দোর্দণ্ড প্রতাপ নেতা আসফ আলিকে বিয়ে করেছিলেন।