বছরের প্রথম দিন, পয়লা জানুয়ারি ভারতে প্রায় ৬৭,৩৮৫ শিশু জন্মগ্রহণ করেছে- যা গোটা বিশ্বে জন্মানো ৩,৯২,০৭৮ জন শিশুর প্রায় ১৭ শতাংশ, এমনটাই জানাচ্ছে ইউনিসেফ।
বছরের প্রথম দিন, পয়লা জানুয়ারি ভারতে প্রায় ৬৭,৩৮৫ শিশু জন্মগ্রহণ করেছে- যা গোটা বিশ্বে জন্মানো ৩,৯২,০৭৮ জন শিশুর প্রায় ১৭ শতাংশ, এমনটাই জানাচ্ছে ইউনিসেফ।
বিশ্বের সদ্য জন্মানো শিশুগুলির মধ্যে অর্দ্ধেক শিশুই জন্মেছে ভারত এবং আরও সাতটি দেশে। অন্যান্য দেশগুলি হল : চিন (৪৬,২৯৯), নাইজেরিয়া (২৬,০৩৯), পাকিস্তান (৬,৭৮৭), ইন্দোনেশিয়া (১৩,০২০), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (১০,৪৫২), কঙ্গো প্রজাতন্ত্র (১০,২৪৭) এবং ইথিওপিয়া (৮,৪৯৩)।
বর্তমানে ১৩০ কোটি মানুষের বাস ভারতে, বিশ্বের মধ্যে চিনের পর ভারত দ্বিতীয় জনবহুল দেশ। গত বছরের জুনে প্রকাশিত রাষ্ট্রসংঘের বিশ্ব জনসংখ্যা বিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত এই দশকেই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসাবে চিনকে ছাড়িয়ে যাবে- ২০২৭ সালের মধ্যে।
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, তরুণ বয়সের কাঠামোটি ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে অপেক্ষাকৃত ভাবে অবদান রেখেছে। চিনে যেখানে মধ্যবয়সীর মাপকাঠি ৩৮ বছর সেখানে তুলনামূলক ভাবে ভারতে সেটা ২৭ বছর। চিনে মোট জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশ যেখানে আঠেরো বছরের নিচে, সেখানে ভারতে নাবালকদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ।
ভারতে শিশুমৃত্যুর হার ১০০০ মধ্যে ৩৮ যা চিনের থেকে এখনও অনেকটা পিছিয়ে, চিনে শিশুমৃত্যুর হার হাজারে ১১টি। বাল্যবিবাহ ও গর্ভাবস্থা এখনও বাচ্চা হওয়ার সময় মায়েদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ, এবং ভারতে মেয়েদের গড় আয়ু চিনের মহিলাদের তুলনায় অন্তত ৮ বছর কম।
প্রতিবছর জানুয়ারিতে, নববর্ষের দিন জন্মানো শিশুদের জন্মদিন উদযাপন করে ইউনিসেফ। শিশু অধিকার সংক্রান্ত সম্মেলনের তিরিশ বছর পূর্তি হতে চলেছে ২০১৯ সালে, সেই কারণে ইউনিসেফ সারা বছর বিশ্বব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।