আনন্দ ও উৎসবের আবেগে কেরলবাসী। অবশেষে অনুষ্ঠিত হল ত্রিচুর পুরম উৎসব। মঙ্গলবার সকালে হাতিদের স্নান করিয়ে সাজানো হয়। এরপর হাতিদের নিয়ে আসা হয় থেক্কিনকাদু ময়দানে। সোমবার রাতে বৃষ্টি হওয়ায় গরমের প্রভাব এদিন কম ছিল। যার ফলে প্রচুর সংখ্যক মানুষ এদিন থেক্কিনকাদু ময়দানে ভিড় করে। প্রথা মেনে চেনড়া অনুষ্ঠিত হয়, যার সুরের তালে পা মেলায় অনেকে। কেরলের স্থানীয় ভাষায় একে আবার মাদাথিল ভারাভু বলা হয়।
২ বছরের অতিমারির ধাক্কা। অথচ বৈশাখের এই সময় ত্রিচূর পুরম কেরলের এক ঐতিহ্য এবং পরম্পরার কাহিনিকেই বিবৃত করে। যেখানে লাখো লাখো মানুষের ভিড় হয়। এমনকী, এই উৎসবে শরিক হতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশ থেকেও বহু পর্যটক আসেন কেরলে। কিন্তু, ২ বছরের অতিমারি সে সব নষ্ট করে দিয়েছে। সোশ্যাল ডিস্টানসিং এবং করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে এই উৎসব সংগঠিত হয়নি। এমন একটি জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যশালী উৎসব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মন ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছিল সকলের। কিন্তু, অতিমারির প্রকোপ কমতেই এবার ফের আনন্দের উন্মাদনায় পড়েছে কাঠি। যার প্রমাণ মিলেছে এদিন। মঙ্গলবার সকালে হাতিদের স্নান করিয়ে সাজানো হয়। এরপর হাতিদের নিয়ে আসা হয় থেক্কিনকাদু ময়দানে। সোমবার রাতে বৃষ্টি হওয়ায় গরমের প্রভাব এদিন কম ছিল। যার ফলে প্রচুর সংখ্যক মানুষ এদিন থেক্কিনকাদু ময়দানে ভিড় করে। প্রথা মেনে চেনড়া অনুষ্ঠিত হয়, যার সুরের তালে পা মেলায় অনেকে। কেরলের স্থানীয় ভাষায় একে আবার মাদাথিল ভারাভু বলা হয়। ঢাক-ঢোল-খোল-করতাল-মৃদঙ্গের তালে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ। এছাড়াও ছিল কানিমঙ্গালাম শস্ত্রের প্রদর্শন, ছিল পানামুক্কামপাল্লি শস্ত্র।