নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বৈষম্য মূলক এবং ভারতে এই আইন সাম্যতার বদলে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে। ইউরোপিয়া সংসদে পাঁচটি রাজৈনিক গোষ্ঠীর যৌথ রেজুলিউশনে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে আরও বলা হয়েছে এনআরসির মতো একটি বিষয় ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ও বৈষম্যকে বাড়ানোর পাশাপাশি জেনোফোবিয়ার পরিবেশকেও বদলে দেবে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বৈষম্য মূলক এবং ভারতে এই আইন সাম্যতার বদলে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে। ইউরোপিয়া সংসদে পাঁচটি রাজৈনিক গোষ্ঠীর যৌথ রেজুলিউশনে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে আরও বলা হয়েছে এনআরসির মতো একটি বিষয় ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ও বৈষম্যকে বাড়ানোর পাশাপাশি জেনোফোবিয়ার পরিবেশকেও বদলে দেবে।
এই যৌথ রেজুলিউশন পাঁচটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী মিলে নিয়েছে, যেখানে ডানপন্থী থেকে সুদূর বামপন্থী সকলেই উপস্থিত, ইউরোপিয় ইউনিয়নের আইন প্রণেতারা সিএএ-র বিরুদ্ধে পাঁচ পাতার খসড়া তৈরি করেছেন। ইউরোপিয় সংসদের ৭৫১ জন সদস্যের মধ্যে এই পাঁচটি গোষ্ঠীর মোট সদস্য সংখ্যা ৫৫৯। এই রেজুলিউশন নিয়ে এবার ইউরোপিয় সংসদে বিতর্ক হবে, এবং বৃহস্পতিবার হবে ভোটগ্রহণ।
এই যৌথ রেজুলিউশনে ভারতে স্বাধীন ভাবে মত প্রকাশের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে, এবিষয়ে সিএএ ও এনআরসি নিয়ে মুখ খোলায় অখিল গগৈই এবং সদফ জাফরের মত ব্যক্তিত্বদের গ্রেফতারির বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারত জুড়ে তৈরি হওয়া প্রতিবাদ-বিক্ষোভের কথাও এখানে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রতিবাদের কথা বলা হয়েছে, সিএএ বিরোধী আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীর নৃশংসার কথাও রয়েছে, যার ফলস্বরূপ প্রাণ হারান কমপক্ষে ২৫ জন, আহত হন ১৬০ বেশি মানুষ এবং গ্রেফতার হন হাজার হাজার আন্দোলনকারী।