গণবিক্ষোভ বিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কা, গ্রাউন্ড জিরো থেকে সরাসরি। কলম্বোর বুকে টিম এশিয়ানেট নিউজ-এর প্রতিনিধিরা। সরাসরি রিপোর্ট করছেন মণু শঙ্কর এবং চিত্র সাংবাদিক অক্ষয়। কলম্বো-য় তেলের জন্য হাহাকার, ৩ দিন ধরে গাড়ির লাইন। রাজনীতিকরা সাধারণ মানুষের কথা চিন্তাই করে না, মন্তব্য শ্রীলঙ্কাবাসীর। রাজনীতিকরা শুধু ক্ষমতা বোঝে, হতাশগ্রস্ত মন্তব্য এক শ্রীলঙ্কাবাসীর। তেলের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষকে লাইন দিতে হচ্ছে। এতেও তেল মিলছে না, ওষুধপত্র মিলছে না, জল প্রায় আসছে না
খাবারেও এবার সঙ্কট দেখা দিতে শুরু করেছে, শ্রীলঙ্কার আশা এখন ভারত। ভারত থেকে পাঠানো খাদ্য সামগ্রী ও তেলের দিকে তাকিয়ে শ্রীলঙ্কা। ভারতের মতো আরও কিছু দেশে সাহায্য করুক চাইছে শ্রীলঙ্কা।
তেলের পাম্পের সামনে কিলোমিটার বিস্তৃত গাড়ির লাইন। সামনের মাথাটা পাওয়া গেলেও লাইনের শেষটা কোথায় তা সহজে ঠাহর করা যায় না। এই অবস্থাতেই এক ছটাক তেবের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিয়ে রয়েছে সাধারণ মানুষ। গোটা দ্বীপরাষ্ট্রেরই এখন এমন ছবি। ত্রস্ত্র-বিধ্বস্ত। যেন আচমকা কেউ সমস্ত কিছু লুঠ করে পালিয়ে গিয়েছে। আর নিঃস্ব অবস্থায় ফেলে দিয়ে গিয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষকে। যারা আজ অসহায়। এশিয়ানেট নিউজের এক্সক্লুসিভ এই রিপোর্ট কভারেজে সামনে এল শ্রীলঙ্কার সাধারণ জনমানসের হতাশার ছবিটা। তাঁদের প্রবল অসহায়তার কথা। এক শ্রীলঙ্কাবাসী জানালেন যে তেলের সঙ্গে সঙ্গে ওষুধও অমিল। এমনকী স্যানিটেশনের জিনিসপত্রও পাওয়া যাচ্ছে না। খাবারে এতদিন সেভাবে টান পড়েনি। এবার পড়তে চলেছে। সরকারি রেশনের দোকান বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কাবাসীর কাছে একমাত্র আশার আলো ভারত। দিল্লির পাঠানোর সাহায্য আপাতত টিকিয়ে রেখেছে শ্রীলঙ্কাবাসীর কিছু করার ক্ষমতাকে। তাদের কাতর আর্তি ভারতের মতো আরও অন্যান্য দেশ এগিয়ে আসুক।