নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মদিবস উপলক্ষে স্বাভাবিকভাবেই এই মিছিল ঘিরে উত্তেজনা ছিল চরমে। শ্যামবাজার পাঁচ-মাথা মোড়ে বেলা ১২টা বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ শুরু হয় মিছিল। এরপরই শুরু হয়ে যায় শোভাযাত্রা। বিশাল মানুষের ভিড় নিয়ে নেতাজি ভাবনাকে সঙ্গে করে এগোতে থাকে মুখ্যমন্ত্রীর এই শোভাযাত্রা। শ্যামবাজার পাঁচ-মাথার মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়ে সিআর অ্যাভিনিফ ধরে মিছিল সোজা হাজির হয় ধর্মতলায় নেতাজি মূর্তির পাদদেশে। সেখানে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর রানি রাসমনি রোডে জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই সভা থেকেই নেতাজী দর্শন এবং ভাবনা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রহসনের অভিযোগ আনেন তিনি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রস্তাবিত যোজনা কমিশনের বিলুপ্তি ঘটা নিয়েও কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা। হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে কেন নতুন সংসদ ভবন তৈরি করতে হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভারত একটা সুবিশাল দেশ। আর দেশের স্বাধীনতায় বাংলার বিশাল ভূমিকা রয়েছে। তাই কলকাতাকে ফের রাজধানীর মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করার দাবি তোলেন মমতা। সেইসঙ্গে দেশের চারকোণে চারটি নতুন রাজধানীর নামও প্রস্তাব করেন তিনি। আজকে দেশ গঠনে কেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুদের ভাবধারাকে ছুঁড়ে ফেলে ব্রাত্য করে দেওয়া হচ্ছে। তা নিয়েও সোচ্চার হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টেনে আনেন কেন ২৩ জানুয়ারি-কে রাজ্য সরকার দেশনায়ক দিবস বলছে, সেই প্রসঙ্গ। জানিয়ে দেন রবীন্দ্র-নেতাজিকে বাদ দিয়ে বাংলা হয় না। বলতে গেলে এদিন শুরু থেকেই নেতাজি জন্মদিবস নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রবলভাবে সোচ্চার ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।