ঘটনার সূত্রপাত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের সামনে অমিত শাহের রোড শো এলে ভিতর থেকে টিএমসিপি সমর্থকরা 'চৌকিদার চোর হ্য়ায়' বলে স্লোগান দিতে থাকেন। পাল্টা বাইরে থেকে বিজেপি কর্মীরা জয় শ্রীরাম ধ্বনি তোলেন। দুই পক্ষের মধ্যে ছিল ব্যারিকেড। ছিলেন পুলিশকর্মীরাও। কিন্তু, তারমধ্য়েও আচমকাই দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। যথেচ্ছ বাঁশ, লাঠি, লোহার রড-ও ব্যবহার করা হয়। এমনকী ব্যারিকেড তুলেও বিশঅববিদ্যালয়ের ভিতরের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। সেই যাত্রা অবশ্য পুলিশ দুই পক্ষকেই আলাদা করে দিতে পেরেছিল। কিন্তু, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় অমিতের মিছিল বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে আসার পরই।
রোড শো শেষ হতেই বিজেপি-র কর্মী ও সমর্থকরা দলে দলে কলেজ স্ট্রিটে রাস্তার দুই পাশে ভাঙচুর শুরু করে। মোটরবাইক, সাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। একটি দল বিদ্য়াসাগর কলেজেও ঢুকে পরে তাণ্ডব শুরু করে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলেজ স্ট্রিটে বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের এই তাণ্ডবের কথা মুখ্যমন্ত্রীর কানেও পৌঁছয়। সেই সময় তিনি বেহালায় সভা করছিলেন। সেখান থেকেই বিজেপি-কে এক কড়া বার্তা দেন।