অনেক খোঁজাখুজির পর দেখা যায় গাছের উপরে চড়ে রয়েছে বিড়াল সানি। রাতে অনেক চেষ্টা করা হলেও সানিকে গাছ থেকে নামিয়ে আনতে পারেননি মীণাক্ষি। ওই রাতে গাছেই থাকে সানি। ২৩ তারিখ সারাদিনও সানিকে গাছের উপর থেকে নামিয়ে আনতে ব্যর্থ হন মীণাক্ষি।
অবশেষে ৭০ ফিট উঁচু গাছের মগডাল (Ashoknagar) থেকে নামিয়ে আনা হল আটকে থাকা বিড়াল সানিকে। ৪০ঘণ্টা ধরে গাছের মগডালে বসেছিল সানি (Cat Rescue in Ashoknagar)। কোনওভাবেই নেমে আসতে পারছিল না। তার এই বিপদ দেখে ত্রাহি রব ছোটে অশোকনগরের পূর্ব মানিকনগরের বালা পরিবারের সদস্যদের। কারণ বাড়ির তরুণী কন্যা মীণাক্ষির পোষ্য সানি। ২৪ তারিখ সকালে স্থানীয় এক যুবক রতন দমকলের ৩৬ ফুট মই-এর সাহায্যে গাছে ওঠে ( Ashoknagar Cat Rescue) । এরপর গাছের ডালপালা ধরে সে পৌঁছয় মগডালে। যেখানে বিড়াল সানি অসহায়েয় মতো বসেছিল। সেখান থেকে সানিকে উদ্ধার করে দমকলবাহিনীর সাহায্যে তাকে নিচে নামিয়ে নিয়ে আসে রতন। পরে এশিয়ানেট নিউজ বাংলার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মীণাক্ষি জানায় যে চিন্টু নামে এক বিড়ালের দাদাগিরিতে আতঙ্কে থাকে সানি। রোজ তাকে চিন্টুর হাতে মার খেতে হয়। ২২ তারিখে চিন্টুর হাত থেকে বাঁচতে সে গাছে উঠে পড়ে। এরপর আর নেমে আসতে পারছিল না। মীণাক্ষি আরও জানায় যে, ২২ তারিখ বিকেল থেকেই তাঁর পোষ্য বিড়াল সানিকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। অনেক খোঁজাখুজির পর দেখা যায় গাছের উপরে চড়ে রয়েছে বিড়াল সানি। রাতে অনেক চেষ্টা করা হলেও সানিকে গাছ থেকে নামিয়ে আনতে পারেননি মীণাক্ষি। ওই রাতে গাছেই থাকে সানি। ২৩ তারিখ সারাদিনও সানিকে গাছের উপর থেকে নামিয়ে আনতে ব্যর্থ হন মীণাক্ষি। এরপর তিনি স্থানীয় অ্মাল লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁদের উদ্যোগে ২৩ তারিখ সন্ধ্যায় অশোকনগরের পূর্ব মানিকনগরে মীণাক্ষিদের বাড়িতে যায় দমকল। কিন্তু, বিড়ালটিকে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। এরপর ২৪ তারিখ সকালে নতুন করে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছিল। আর তারপরেই বিড়ালটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।