বিদিশা জানিয়েছিল যে সে অনুভব-কে বাবা-মা-র থেকেও বেশি ভালোবাসে। দিয়া জানিয়েছেন, ভোর ৪টের সময় শেষবার কথা হয়েছিল। কিন্তু বিদিশা গত কয়েক দিন ধরেই সমানে আত্মহত্যা করার কথা বলছিল। বিদিশার সত্যি সত্যি অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এটা বুধবার রাতে জানতে পেরে তড়িঘড়ি দিয়ারা ছুটে যান দমদমে।
সে আর নেই- ভাবতেই পারছেন না দিয়ারা। বিদিশার বান্ধবীরা আরও জানিয়েছেন যে, অনুভবকে তাঁরা ফোন করেছিলেন। বিদিশার মৃত্যু সংবাদের কথা শুনে কোনও দুঃখপ্রকাশই নাকি করেননি অনুভব। উল্টে নাকি বলেছেন যা করেছে ও করেছে। বিদিশার সঙ্গে ভালোবাসা থাকলেও যে ভালোবাসা বিদিশা নাকি চেয়েছিল সেটা তাঁর পক্ষে দেওয়া সম্ভব ছিল না বলেও অনুভব জানায়। এমন দাবিও করেছেন বিদিশার বান্ধবীরা। সুইসাইড নোটে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কথা লিখে গিয়েছে বিদিশা। কিন্তু বিদিশা শরীরে কোনও ক্যানসারে জীবাণু ছিল না বলেই দাবি করেছেন তাঁর বান্ধবীরা। চোখে জল, মনের কোণে এক গভীর যন্ত্রণা, প্রিয় বন্ধুকে হারিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েছেন দিয়ারা। দিয়া জানিয়েছেন, ভোর ৪টের সময় শেষবার কথা হয়েছিল। কিন্তু বিদিশা গত কয়েক দিন ধরেই সমানে আত্মহত্যা করার কথা বলছিল। বিদিশার সত্যি সত্যি অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এটা বুধবার রাতে জানতে পেরে তড়িঘড়ি দিয়ারা ছুটে যান দমদমে। সংবাদমাধ্যমকে দিয়ারা জানান, বিশ্বাসই হচ্ছে না যে বিদিশা নেই। দিন কয়েক আগেও রাতভর জন্মদিনের পার্টি হল। নাচা-গানায় উৎফুল্ল হয়ে উঠেছছিল বিদিশা।