হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় পোড়া হল বনের বাসিন্দা নীলগাই। বৃহস্পতিবার দুপুরে নীলগাইটি মেলে সাদলি চকের উত্তর কনকনিয়া গ্রামে। দুপুরে মাঠে ফসল কাটছিলেন চাষীরা, সেই সময় নীলগাইটি চোখে আসে। নীলগাইটিকে ধারাল অস্ত্র নিয়ে আঘাত করতে উদ্যত হয়েছিল কয়েকজন। এই সময় নীলগাইটি পালাতে গিয়ে পাশের পুকুরের মধ্যে পড়ে যায়। গ্রামবাসীরা এসে নীলগাইটিকে রক্ষা করে এবং প্রতিবাদ করে।
ধান কাটছিল চাষীরা। আচমকাই সেখানে ধান ক্ষেতের মধ্যে দেখা মেলে একটি নীল গাইয়ের। চাষীরা প্রথমে মনে করেছিল এটা বোধহয় কোনও গরুর বাচ্চা। কিন্তু, একটু পরে দেহের গঠন দেখে ঠাহর হয় এটা অন্য কোনও প্রাণী। এরমধ্যে কয়েক জন চিনতে পারে প্রাণীটিকে। তাদের ক্ষেতে যে নীলগাই এসেছে তা অন্যদের জানায় এরা। নীলগাই মানেই বিহার লাগোয়া মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের সাদলি চকের উত্তর কনকনিয়া গ্রামের কাছে আতঙ্কের। কারণ, মাঝে মাঝেই কাছেই বিহারের ভূখণ্ডে পাকা ধাবনের ক্ষেতে নীলগাই-এর হামলার খবর মেলে। নীলগাই ফসল খেয়ে চলে যায়। কয়েক জন চাষী আবার ধারাল অস্ত্র নিয়ে নীলগাইকে আঘাত করার চেষ্টা করে। কিন্তু নীলগাইটি পালাতে গিয়ে পাশে একটি পুকুরে পড়ে যায়। ঘটনাটি স্থানীয় গ্রামবাসীদের নজরে আসে। এরপর তারা নীলগাইটিকে উদ্ধার করে ম্যাটাডোরে চাপিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় নিয়ে যায়। সেখানেই থানার ক্যাম্পাসে বেঁধে রাখা হয় নীলগাইটিকে। খবর দেওয়া হয় বনদফতরকে। তারা এসে নীলগাইটি নিয়ে যাবে। শারীরিক পরীক্ষার পর নীলগাইটিকে পার্শ্ববর্তী কোনও জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।