অবশেষে ধরা পড়ল গোসাবার মথুরাখন্ড গ্রামে ঢুকে পড়া বাঘ। মঙ্গলবার ভোরে খাচায় ধরা পড়ে বাঘটি। ভোর ৪.৫৫ মিনিট নাগাদ খাঁচাবন্দি হয় বাঘটি। বাঘটিকে নিয়ে গিয়ে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে, এমনটাই জানিয়েছে বনদফতরের কর্মীরা।
অবশেষে ধরা পড়ল সুন্দরবনের গোসাবার মথুরাখন্ড গ্রামে ঢুকে পড়া বাঘ। সোমবার গভীর রাতে পিরখালি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে পঞ্চমুখানি নদী সাঁতরে বালি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মথুরাখণ্ড গ্রামে ঢুকেছিল বাঘটি। সেখানে হাবুল দাস নামে এক গ্রামবাসীর গোয়ালে ঢুকে তিনটি ছাগলে এককি গরু মেরে ফেলে বাঘটি। মঙ্গলবার ভোরে গ্রামের আশপাশে বাঘের পায়ের ছাপ দেখে ও মৃত গরু-ছাগল দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। ঘটনার খবর জানতে পেরে বন দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে বাঘের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন। গ্রাম লাগোয়া ম্যানগ্রোভ জঙ্গলে সে সময় বাঘ লুকিয়ে ছিল বলে সিদ্ধান্তে উপনীত হন বনকর্মীরা। এরপর সেই ম্যানগ্রোভ জঙ্গল টিকে নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। দিনভর বাজি পটকা ফাটানো হয় বাঘকে জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর জন্য। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত বাঘ জঙ্গলে ফিরে না যাওয়ায় দুটি খাঁচা পাতার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বাঘ ধরার জন্য। অন্যদিকে গ্রামের রাস্তায় আলো জ্বালানো হয়, রাত পাহারার ব্যবস্থা করা হয় যাতে কোনোভাবেই বাঘটি গ্রামের অভ্যন্তরে প্রবেশ না করতে পারে সে কারণে। অবশেষে বুধবার ভোর ৪.৫৫ মিনিট নাগাদ খাঁচাবন্দি হয় রয়েল বেঙ্গল টাইগার। শেষ পর্যন্ত বাঘ ধরা পড়ায় খুশি বনকর্মীরা আর স্বস্তি পেয়েছেন মথুরাখন্ড গ্রামের বাসিন্দারা। বাঘটির শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তাকে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বনদপ্তর এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে।