অগ্নিনির্বাপণের ক্ষেত্রে এক নয়া কৌশল এবার প্রয়োগ করতে চলেছে দমকল। আগুন নেভাতে এবার ব্যবহার হবে ফায়ার বল। সেই ফায়ারবলের এবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল বুধবার, দমকলের সদর দফতর মির্জা গালিব স্ট্রিটে। এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, দমকলের ডিজি জগমোহন এবং অন্যান্য উচ্চ পদস্ত আধিকারিকরা। এই নতুন ফায়ার বল এর সাহায্যে কাঠ, কাগজ, তেল-গ্যাস, মিটার বক্স ইত্যাদির ক্ষেত্রে আগুন লাগলে তা নেভানো অনেক সহজ হবে। এই বলের মধ্যে থাকা মনো অ্যামোনিয়াম ফসফেট এর গুঁড়ো, চেন বেকিং পদ্ধতির মাধ্যমে অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনবে। প্রাথমিক পর্বে দুই হাজার বল নিয়ে আসা হচ্ছে যার জন্য খরচ হচ্ছে ২২ লক্ষ টাকা। আগামী দিনে আরও বল নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে দমকলের।
দমকলের ডিজি জগমোহন-এর কথায়, কীভাবে উন্নত মানের পরিষেবা আরও মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে, সেটাই তাঁদের লক্ষ্য। সেই কারণেই এই ফায়ার বল। সেইসঙ্গে ড্রোন এবং রোবটও নিয়ে আসা হবে। সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, যেখানে আগুন লেগেছে সেখানে এই ফায়ার বল পাঠিয়ে দিলে সেটা নিজে থেকেই ফেটে যাবে। এতে অনেক সহজেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। এক একটি ফায়ার বলের ওজন ১.৩ কেজি থেকে ১.৫ কেজি।
সুজিত বসু জানিয়েছেন, অনেক দিন থেকেই এই জিনিসটি নিয়ে আসার পরিকল্পনা ছিল, অবশেষে সেটা করতে পেরে ভাল লাগছে। সঙ্গে তিনি আরও জানান, আমাদের টার্গেট রাজ্য জুড়ে ২০০ ফায়ার স্টেশন তৈরি করা। ফায়ার কন্ট্রোল রুমকে আরও আধুনিক করারও চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি আগামী দিনে ১০২ মিটারের ল্যাডার এবং রোবট নিয়ে আসা হচ্ছে। পুজোর সময় একাধিক জায়গায় বাড়তি দমকল স্টেশন তৈরি করা হচ্ছে।