ফুলবাগান থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত প্রথমবার মাটির নীচে এ দিন ট্রায়াল রান হলো ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর। ভুগর্ভস্থ মেট্রো লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ আসার পরে এটাই প্রথম ট্রায়াল রান। ইতিমধ্যেই সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত চলাচলের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে ফেলেছে ইস্ট- ওয়েস্ট মেট্রে কর্তৃপক্ষ। সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী জুলাই মাস থেকে ওই অংশে পরিষেবা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার পরবর্তী পর্যায়ে সল্টলেক থেকে ফুলবাগান পর্যন্ত মেট্রো চলাচল শুরু হতে পারে।
ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোয় সল্টলেক থেকে সুভাষ সরোবর পর্যন্ত মাটির উপর দিয়েই গিয়েছে লাইন। এর পরে শুরু হচ্ছে ভুগর্ভস্থ অংশ। ফুলবাগান থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মাটির নীচ দিয়েই ছুটবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। তার মধ্যে পড়বে গঙ্গার নীচে ৫২০ মিটার লম্বা সুড়ঙ্গও। সবমিলিয়ে ১৬.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যাত্রাপথ। এই মুহূর্তে ধর্মতলা থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত মাটির নীচে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ চলছে। তবে ফুলবাগান থেকে শিয়ালদহ অংশে মাটির নীচে সুড়ঙ্গ কেটে রেল লাইন বসানোর কাজ অনেক দিন আগেই শেষ হয়েছে। লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ আসার পরে আজই শুরু হল ট্রায়াল রান। মাটির নীচে যাতায়াত মিলিয়ে তিন কিলোমিটারের কিছু বেশি পথ সাফল্যের সঙ্গে অতিক্রম করে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর রেক।
যেহেতু প্রথম দিনের ট্রায়াল রান, স্বভাবতই ন্যূনতম গতিতে চালানো হয় ট্রেন। ট্রায়াল রানের সময় কোনও প্রযুক্তিগত সমস্যা হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য হাজির ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর উচ্চ পদস্থ কর্তারাও। প্রথম দিনের ট্রায়াল রান শেষে অবশ্য তাঁরা সন্তুষ্ট। এর পর অবশ্য ধাপে ধাপে টায়াল রানের গতি ধাপে ধাপে বাড়ানো হবে। সিগন্যালিং ব্যবস্থা-সহ বাকি পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গেলে এবং নিরাপত্তাজনিত যাবতীয় ছাড়পত্র এলে তার পরেই এই অংশে ট্রেন চলাচল শুরুর প্রশ্ন।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী জুলাই মাস থেকেই অবশ্য বহু প্রতীক্ষিত ইস্ট- ওয়েস্ট মেট্রোয় যাত্রী পরিষেবা শুরু হওয়ার কথা। প্রথম পর্যায়ে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত চলবে ট্রেন। তবে যাত্রীদের সুবিধার্থে যত শীঘ্র সম্ভব অন্তত ফুলবাগান পর্যন্তও ট্রেন পরিষেবা চালু করে দিতে চান ইস্ট- ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে সল্টলেকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বহু মানুষেরই সুবিধে হবে। তবে সেই পরিষেবা শুরু হতে এখনও বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে সাধারণ মানুষকে।