রাতের অন্ধকারে মাঝে মাঝেই গায়েব হয়ে যাচ্ছে মুরগি, হাঁস। এমনকী বাড়ির গরু এবং বাছুরের গায়েও মিলছিল ক্ষতচিহ্ন। যেন কোনও বড় জন্তু মাংস খুবলে নিয়ে চলে গিয়েছে। তার সঙ্গে সঙ্গে বড় বড় পায়ের ছাপ। আতঙ্ক ছড়ায় কোলাঘাটের একটি গ্রামে। অবশেষে, গ্রামবাসীরা আলোচনা করে ফাঁদ পাতা হয়। এরপর ২৬ জুন দেখা যায় খাঁচার ভিতরে বিশালাকারের একটি বাঘরোল। খবর যায় বনদফতরে। বাঘরোল দেখতে ছুটে আসেন গ্রামের মানুষ। আশপাশের গ্রাম থেকেও মানুষ এসে ভিড় জমাতে থাকে। গ্রামবাসীরা জানান, গ্রামের এর আগেও বাঘরোলের উৎপাত হয়েছে। কিন্তু সে সময় কোনও বাঘরোল ধরা পড়েনি। আশপাশে চাষের ক্ষেতে এখনও অনেক বাঘরোল রয়েছে। সাধারণত এরা পুকুর বা ডোবা থেকে মাছ ধরে খায়। গরমের কারণে পুকুরের জল কমে গিয়েছে, মাছও সেভাবে নেই। ফলে খাবারের সন্ধানেই বাঘরোল গ্রামের মধ্যে হানা দিচ্ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। বাঘরোলটিকে যাতে জঙ্গলের দিকে ছেড়ে দেওয়া যায় তার জন্য বনদফতরকে অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।