জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী হিমাদ্রীর সঙ্গে ঝামেলা চলছিল পূজার। ১ বছর আগে বিয়ে হলেও চলে এসেছিলেন বাবা-মা এবং ভাই-এর সংসারে। ঘটনার সময় পুজারা বাবা-মা এবং ভাই কাজে গিয়েছিল। ফাঁকা বাড়িতে একাই ছিল পূজা।
ফাঁকা বাড়িতে ঢুকে স্ত্রীকে কোপাল স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বেলা সাড়ে দশটায় খড়দহের সুভাষপল্লি এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোমবার সকালে মোটরবাইকে চরে স্ত্রী পূজার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল স্বামী হিমাদ্রী শিকদার। দরজার সামনে মোটরবাইক রেখে সে ভিতরে চলে গিয়েছিল। এর খানিকক্ষণ পরে দেখা যায় দৌড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছে হিমাদ্রী। আর পিছনে রক্তাক্ত অবস্থায় স্ত্রী পূজা। দরজার সামনে এসে লুটিয়ে পড়েছিল পূজা। তাঁর শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। স্থানীয়রা হিমাদ্রী-কে ধরার আগেই সে বাড়ির পিছনে জঙ্গলের ভিতর দিয়ে পালিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী হিমাদ্রীর সঙ্গে ঝামেলা চলছিল পূজার। ১ বছর আগে বিয়ে হলেও চলে এসেছিলেন বাবা-মা এবং ভাই-এর সংসারে। ঘটনার সময় পুজারা বাবা-মা এবং ভাই কাজে গিয়েছিল। ফাঁকা বাড়িতে একাই ছিল পূজা। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, এদিন হিমাদ্রি এসে যখন ঝামেলা শুরু করেছিল, তখন পূজা তাঁর ভাসুরকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু ভাসুরও পূজাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন। জখম অবস্থায় হাসপাতালে যাওয়ার পথে পূজা এই বয়ান দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই বাসিন্দা। দিন দুপুরে এমন এক ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য আতঙ্কে রয়েছেন সুভাষপল্লির মানুষ। হিমাদ্রীকে এখনও ধরা যায়নি। কত বড় সাংসারিক অশান্তি চলছিল যে হিমাদ্রী পূজাকে মেরে ফেলতে উদ্যত হল তাও তদন্তে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এই মুহূর্তে গভীর সঙ্কটে রয়েছে পূজার শারীরিক অবস্থা। তাঁর পেটে এবং গলায় ধারাল ছুরির কোপ বসেছে। রক্তক্ষরণও অনেকটা হয়েছে।