পলাশকান্তি মণ্ডল, নদিয়া: সারাবছর শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য রূপে পুজো করা হলেও জামাই ষষ্ঠীর দিন তিনি হয়ে ওঠেন আদরের জামাই। নবদ্বীপ মহাপ্রভু মন্দিরের সেবায়েতরা ঘরের মেয়ে বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর স্বামী হিসাবে তাঁকে ঘিরে এ দিন অন্যরকম উৎসবে মেতে ওঠেন। বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর ভাই মাধবাচার্যের উত্তরপুরুষরাই প্রতি বছর এই রীতি পালন করেন।
মহাপ্রভুকে নিজের সন্তানতুল্য মনে করে ষাটের বাতাস দেন গোস্বামী পরিবারের মহিলারা। প্রথমে নতুন ধুতি পাঞ্জাবিতে সাজানো হয় তাঁকে। পরানো হয় রজনীগন্ধা এবং গোলাপের মালা, গায়ে ছিঁটিয়ে দেওয়া হয় সুগন্ধী। জামাইষষ্ঠীর জন্য বিশেষ ভোগের আয়োজন করা হয় নবদ্বীপের মন্দিরে। এদিন মধ্যাহ্নে ভোগ হিসাবে নিবেদন করা হয় শাক, থোড়, মোচা, শুক্ত, পনিরের ডালনার মতো পাঁচ রকমের তরকারি। এছাড়াও ডালের সঙ্গে থাকে পাঁচ ধরনের ভাজা। তবে এ দিনের ভোগের সেরা পদটি অবশ্যই আম- ক্ষীর।