ডুবে গেল একটি করে লঞ্চ এবং ট্রলার। ভেসে গেল আস্ত জেটি, অন্যটি ভেঙে পড়ল নদীর মধ্যে। নোঙর ছিঁড়ে ভেসে গেল সরকারি ভেসেলও। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল কতটা শক্তিশালী ছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার নামখানার এই ঘটনাগুলিই তার প্রমাণ। নামখানা জেটি ঘাটে রবিবার সকালেও বুলবুলের ধ্বংসলীলার ছব স্পষ্ট। নামখানায় হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদীর উপরে দু'টি জেটি ছিল। কাকদ্বীপের দিক থেকে বকখালির দিকে যাওয়ার জন্য এই জেটিই একসময় ছিল এলাকার সাধারণ মানুষের অন্যতম ভরসা। কিন্তু মাস কয়েক আগে এই নদীর উপরে সেতু চালু হওয়ায় এই জেটির গুরুত্ব কমলেও, বর্তমানে এই নামখানা এলাকা থেকে বেণুবন, ঘোড়ামারা- সহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি দ্বীপে যাওয়ার জন্য মানুষ এই জেটির ব্যবহার করতেন। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে এই জেটি দু' টির মধ্যে একটি সম্পূর্ণ জলের তোড়ে ভেসে যায়। অন্য জেটিটি ভেঙে নদীর মধ্যে ঝুঁকে পড়ে। ফলে এই দু' টি জেটিই বর্তমানে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শনিবার রাত সাড়ে আটটা থেকে ন'টার মধ্যে এই ঘটনার ঘটে। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে জেটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ছাড়াও নদীতে নোঙর করা একটি করে ট্রলার এবং লঞ্চ ডুবে গিয়েছে বলেও দাবি করেন স্থানীয় এক মৎস্যজীবী। ঝড়ের দাপট থেকে কোনওক্রমে রক্ষা পায় বাকি ট্রলারগুলি। তীব্র হাওয়ার বেগে নোঙর করে রাখা একটি ভেসেলও বেশ ভেসে বেশ কিছুটা দূরে চলে যায়।