পুজো মানেই নতুন পোশাক। আর সেই সঙ্গে যদি হয় একটু অন্য ধরনের পোশাক হয় তাহলেতো আর কথাই নেই। আর তার জন্যই দরকার দোকান থেকে সেরা পোশাকটা বেছে নেওয়া। তবে করোনা কোথাও যেন পুজোর আনন্দটাই কেড়ে নিয়েছে। এবার সেটাই একটু বাড়িয়ে দিয়ে পুজোর বাজারে এসেছে এক নতুন ধরনের পোশাক। এই পোশাক এক করে দিয়েছে ভারতের দুই রাজ্যকে। এক দিকে আসাম আর অন্য দিকে পশ্চিমবঙ্গের বিষ্ণুপুর যেন এক হয়ে গিয়েছে এই পোশাকে। বিষ্ণুপুরের বালুচরী শিল্পীরা এবার পুজোয় তৈরি করেছেন বালুচরী শাড়ির মেখলা। একঘেয়েমি বালুচরি শাড়ির ডিজাইনে বদল আনতেই এই নতুন ভাবনা। কথিত আছে মুর্শিদাবাদের বালুচর গ্রাম থেকে এসেছে বিষ্ণুপুরে বালুচরি শিল্প। সেই সময় নবাবি ডিজাইনের সঙ্গে বিষ্ণুপুর বালুচরী শাড়িতে ফুটে উঠেছিল মল্লরাজাদের মন্দিরের কারুকার্য। পরবর্তীকালে শিল্পীদের সৃজনশীলতায় বিষ্ণুপুরের বালুচরি শাড়িতে এসেছে অভিনবত্ব। আর সেই বালুচড়ী শাড়ি এবার পাওয়া যাবে এক নতুন ভাবে। আর এই বালুচরী শাড়ির মেখলা কিনতে হলে বাজেট রাখতে হবে ৭-১২ হাজার টাকা। তহলেই এবার পুজোতে নিজেকে সব থেকে আলাদা করে সাজিয়ে তোলা যাবে বলাই যায়। তবে সাজের সঙ্গেই পুজোর সময় নিজের খেয়াল রাখতে ও করোনা থেকে বাঁচতে অবশ্য পরতে হবে মাস্ক ও সঙ্গে রাখতে হবে স্যানিটাইজার।