বাবা ভ্যান চালান। আর শিবানী ভাগের জমিতে চাষ করে। নুন আনতে পান্তা ফুরোনো পরিবারে তিনজনে কাজ না করলে চলবেই বা কেমন করে। সারাক্ষণ ভয়, আজ জুটেছে কাল কী হবে। আর তার থেকেও বড় ভয় লেখাপড়াটা আর হবে না।
এই ভয় আর পাকস্থলির মোচড়ের মধ্যেই শিবানী পাঁজা করে ফেলেছে অসাধ্যসাধন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত এলোকেশী ঐকতান উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী শিবানী স্কুলের ৬০ জন ছাত্রীকে পিছনে ফেলে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে। শিবানীর মোট প্রাপ্ত নম্বর ৪৬৪, শতকরা হিসেব অনুযায়ী ৯২ শতাংশ। ১৮ বছরেরে মেয়ের জেদ হার মানিয়ে দিয়েছে সমস্ত 'না'-কে।
এই মুহূর্তে শিবানীর ভবিষ্যত চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। বয়স যত বাড়ছে শিবানীর মায়ের কর্মক্ষমতা তত কমছে। কিন্তু কী ভাবে জুটবে বিজ্ঞান পড়ার খরচ , উত্তর কেউ জানে না।