জন্মদিন বলে কথা! চাইলে বন্ধবান্ধব কিংবা আত্মীয়দের সঙ্গে হুইহুল্লোড় করে কাটিয়ে দিতেই পারত। কিন্তু তা না করে বিশেষ দিনটি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের সঙ্গে কাটাল বীরভূমের তারাপীঠের এক স্কুল পড়ুয়া। হল কেট কাটা, চলল ভুরিভোজও। তারাপীঠ বিদ্যামন্দিরের একাদশ শ্রেণির ছাত্র পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বাড়িও তারাপীঠেই। শুক্রবার ছিল পার্থের জন্মদিন। সকালে বাবা নিয়ে রামপুরহাট চাঁদমারি এলাকায় স্প্যাস্টিক সোসাইটিতে হাজির সে। দিনভর সেখানেই ছিল পার্থ। সকালে প্রথমে কেক কেটে শুরু হয় জন্মদিন উদযাপন। দুপুরে স্প্যাস্টিক সোসাইটিতে বিশেষচাহিদা সম্পন্ন মানুষের সঙ্গে ভুরিভোজ সামিল হয় একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্র। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলে, 'এরা তো কারও ভাই, কারও বোন। বিশেষচাহিদা সম্পন্ন মানুষদের অবহেলা বা অনাদর করা উচিত নয়। জন্মদিনটা ওদের সঙ্গে কাটাতে চেয়েছিলাম। সেই আশা পূরণ হল।'