এই প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করল তেঁতলো। দলমা পাহাড়ের নিচে পুরুলিয়া-ঝাড়খণ্ডের সীমানায় এই গ্রাম। পাহাড়ের এক্কেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাজ ছিল মাওবাদীদের। স্বাধীনতার পর আর জাতীয় পতাকা চাক্ষুষ করেনি তেঁতলো। জাতীয় পতাকা উত্তোলনে ফতোয়া ছিল মাওবাদীদের।
এই প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করল তেঁতলো। প্রজাতন্ত্র দিবসের ৭৩ বছরে এসে এই প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করল তেঁতলো গ্রামের মানুষ। দলমা পাহাড়ের নিচে পুরুলিয়া-ঝাড়খণ্ডের সীমানায় এই গ্রাম। পাহাড়ের এক্কেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাজ ছিল মাওবাদীদের। স্বাধীনতার পর আর জাতীয় পতাকা চাক্ষুষ করেনি তেঁতলো। জাতীয় পতাকা উত্তোলনে ফতোয়া ছিল মাওবাদীদের। এখন ঝাড়খণ্ডের এই এলাকায় মাওবাদীদের দৌরাত্ম অনেক কম। তাও মাওবাদী স্লিপার সেলের প্রতিনিয়ত হুমকি আসে। জাতীয় পতাকা উত্তোলনে এবারও ফতোয়া ছিল মাওবাদীদের। আদিবাসী যুব কল্যাণ সমিতির সদস্যরা এই এলাকায় সার্ভে করছিল। সেই সময় তেঁতলার কাহিনি সমিতির সদস্যদের সামনে আসে। তখনই ঠিক হয় এবার ঘটা করে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করার। মাওবাদীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। গ্রামের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের চিপসের প্যাকেট দেওয়া হয়। গ্রামের প্রবীণদের দেওয়া হয় কম্বল, এছাড়াও দেওয়া হয় খেস।