৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবসে পুরুলিয়ার রাস্তায় 'ভ্যাকসিনেশন অন হইল'। দিনভর পুরুলিয়ার বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরল ভ্যাক্সিনেশন অন হুইল। পথচলতি মানুষদেরও এদিন দেওয়া হল করোনা টিকা। প্রথম ডোজ যারা পাননি তাদের দেওয়া হল প্রথম ডোজ। সমস্ত সাধারণ মানুষ যাতে ভ্যাক্সিন পান তাই এই উদ্যোগ। পুরুলিয়ার স্বাস্থ্য দফরের এই উদ্যোগে খুশি সাধারণ মানুষ।
৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন পুরুলিয়া শহরের রাস্তায় 'ভ্যাকসিনেশন অন হইল'।দিনভর পুরুলিয়া শহরের বিভিন্ন মোড় থেকে অলি গলি ঘুরলো ভ্যাক্সিনেশন অন হুইল।সাস্থ্য দপ্তর এবং একটি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে মোট ১০০০ মানুষকে টিকা করনের টার্গেট নিয়ে পুরুলিয়া শহরের জনবহুল এলাকা পোস্ট অফিস মোড়,হাসপাতাল মোড়, এবং হাটতলা মোড়ে থামল ভ্যাকসিন মোবাইল ভ্যান।নানান কাজে ব্যাস্ত পথ চলতি মানুষকে থামিয়ে তাদের আধার কার্ড,ভোটার কার্ড,প্যান কার্ড বা রেশন কার্ড দেখিয়ে দেওয়া হল কোভিশিল্ড এর প্রথম ডোজ এবং কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ড এর প্রথম এবং দ্বিতীয় দুটি ডোজেই দেওয়া হল। পথ চলতি মানুষ যারা এখনো ভ্যাকসিন নেননি।তাদের আজ দেওয়া হল প্রথম ডোজ কোভিশিল্ড এবং যাদের প্রথম ডোজ নেওয়া হয়ে গেছে তাদের দ্বিতীয় ডোজের কোভ্যাকসিনের এবং কোভিশিল্ড দুটো ডোজেই দেওয়া হল।আবার পনেরো থেকে আঠারো বছর বয়সী যাদের এখনো ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়নি তাদেরকেউ দেওয়া হল কোভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন মানেই ছুটির আমেজ।সেরকম কাজের চাপ থাকেনা। প্রজাতন্ত্র দিবসের এই দিনটিকে কাজে লাগিয়ে রাস্তায় নামল ভ্যাক্সিনেশন অন হুইল।এদিকে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ভ্যাকসিন এর জন্য আবেদন বেশ সময়সাপেক্ষ।আবার লাইনে না দাঁড়িয়ে দোকান বাজার করতে এসে বা বাজার ঘুরতে এসে হাতের কাছে কোভিড ভ্যাকসিন পেয়ে বেশ খুশি পথচলতি মানুষেরা।ব্যাপক উৎসাহে ভ্যাকসিন নিলেন অনেকেই।উদ্যোক্তারা জানান। এমনও মানুষ আছেন।যারা এতই ব্যস্ত যে তারা ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রয়োজন মনে করছেন না আমাদেরকেই তাদের কাছে গিয়ে বুঝিয়ে ভ্যাকসিন দিতে হচ্ছে।তবুও আমরা সকলেই যাতে ভ্যাকসিন পান তার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।