প্রার্থীপদ ঘোষণা নিয়ে অস্বস্তি যেন কিছুতেই কাটছে ঘাসফুল ও পদ্মফুল শিবিরে। তৃণমূল ও বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই জেলায় জেলায় বিক্ষোভ শুরু করে দলীয় কর্মীরা। ইতিমধ্যেই ৪ জায়গায় প্রার্থী বদল করেছে শাসক দল। সমস্যা কিছুটা স্তিমিত হতে না হতেই ফের নয়া সমসস্যা দেখা মাথা চাড়া দিয়ে উঠল এবার ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদ। টিকিট না মেলায় বেসুরো মুর্শিদাবাদের তৃণমূলের নয়ের দশকের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি সাগির হোসেন। আলাদাবাবে নির্বাচনে লড়াই করার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতার নয়ের দশকের দলের পুরাতন সঙ্গী তথা মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাতা সাগির হোসেন। মুর্শিদাবাদের মত জেলায় যেখানে তৃণমূলের এই মুহূর্তে শক্ত সংগঠন রয়েছে সেখানে আচমকাই দলের সহ-সভাপতি আলাদাভাবে সাংবাদিকদের প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিতেই জোর জোর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। দলের দুর্দিনের কাণ্ডারি সাগীর বিভিন্ন ভাবে দল কে সাহায্য করেছেন ।কিন্তু যখন থেকে দল স্বাবলম্বী হয়েছে ধিরে ধিরে সাগীর পিছনের সারিতে চলে গিয়েছেন। যদিও এবার টিকিট না পেয়ে সাগির হোসেন জানিয়েছে,'দল প্রার্থী না করলেও আলাদাভাবে প্রার্থী হওয়ার কথা ভাবছি। ভোটে দাঁড়াবো তবে নির্দল নাকি অন্য কোন দলের হয়ে সেটা সময় বলবে'।
ভগবান গোলা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করেছে ইদ্রিশ আলিকে। তারপরই দলের প্রতি গোসা হয়েছে বর্ষীয়ান নেতা সাগির হোসেনের। এই ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। এদিন এই ব্যাপারে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল সাংসদ জেলা সভাপতি আবু তাহের খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,' এমন কোন ঘটনার কথা এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে দলীয় সূত্রে জানা নেই।পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জেলার সহ-সভাপতি সঙ্গে অবশ্যই কথা বলা হবে তারপরেই বাকিটা জানানো সম্ভব"। সূত্রের খবর সাগির হোসেনের মান ভঞ্জনের চেষ্টা করা হলেও, বরফ এখনও গলেনি। শেষ পর্যন্ত এলাকায় সুপরিচিত, দক্ষ সংগঠক সাগির হোসেন আলাদা লড়লে তাতে শাসক দলের সমস্যা অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।