তাপস দাস: ব্যারাকপুর ঘিরে ফেলেছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় ও সাংগঠনিক, দুই স্তরেই ধস নামিয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির, এই এলাকায়। এরই মধ্যে এসে পড়েছে বিধানসভা ভোট। ব্যারাকপুর বিধানসভা ১৯৫১ সালের পরে লোপ পায়। ফের তা বিধানসভার স্বীকৃতি পায় ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে। ২০১১ ও ২০১৬, দুবারের বিধানসভা ভোটেই এই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের শীলভদ্র দত্ত। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন।
অর্জুন সিং, ভাটপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের চারবারের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক, রাজ্য তৃণমূলের হিন্দি সেলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন, এবং তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদীকে হারিয়ে ব্যারাকপুরের সাংসদ নির্বাচিত হন।
দীনেশ ত্রিবেদী লোকসভা ভোটে হেরে যাবার পর, তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠায় তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যসভার সাংসদ দীনেশ ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়েন এবং মার্চের গোড়ায় বিজেপিতে যোগ দেন। অর্জুন, শীলভদ্রদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তাঁর বহু অনুগামী।
এরই মধ্যে গত অক্টোবর মাসে খুন হন স্থানীয় বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিকভাবে অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য বিষয়টিকে দুষ্কৃতীদের মধ্যেকার গণ্ডগোল বলে অভিহিত করে। তবে ঘটনা হল, নিহত মণীশ শুক্লাও একসময়ে তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা ছিলেন।