আসন সংখ্যা কমলেও আরও একবারের জন্য নবান্ন দখল করছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার রাজ্য সাক্ষী থাকতে চলছে একটি বড়সড় রাজনৈতিক পরিবর্তনের। কারণ লোকসভা নির্বাচনের ধারা অব্যাহত রেখে বিধানসভা নির্বাচনেও বাম ও কংগ্রেসকে তৃতীয় সারিতে ঠেলে দিয়ে বিধানসভায় বিরোধী দলের ভূমিকা গ্রহণ করতে চলছে বিজেপি। তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে একাধিক সংস্থার এক্সিট পোল। গতবার বিধানসভা নির্বাচনে ২৯৪টি আসনের মধ্যে ২১১টি আসন দখল করে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এবার তাদের আসন সংখ্যা ২০০ টি ছোঁবে না। এক্সিট পোলে বলা হয়েছে চমকপ্রদ উত্থান হবে বিজেপির। গত নির্বাচনে এই রাজ্যের তাদের বিধায়কের সংখ্যা ছিল মাত্র ৬। সেই ৬ জন থেকে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১০০র গণ্ডি ছাড়িয়ে যাবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন সমীক্ষকরা।
রাজ্যের নির্বাচনী সমীক্ষাঃ
মোট আসন ২৯৪ বিধানসভা দখলের ম্যাজিক ফিগার- ১৪৮
তৃণমূল বিজেপি সংযুক্ত
রিপাব্লিক ১২৮-১৩৮ ১৩৮-১৪৮ ১১-২১
ইটিজি রিসার্চ ১৬৪-১৭৬ ১০৫-১১৫ ১০-১৫
এবিপি সিভোটার ১৫২-১৭২ ১০৯-১২১ ১৪-২৫
পি মার্ক ১৫২-১৬৪ ১১২-১৩২ ১০-২০
টাইমসনাও সিভোটার ১৫৮ ১১৫ ১৯
এই নির্বাচনে বাম ও কংগ্রেসের অবস্থা আরও খারাপ হবে বলেও মতামত দেওয়া হয়েছে। বলা যেতে পারে আরও ধরাসায়ী হবে বাম ও কংগ্রেস জোট। তবে ১৫ শতাংশ ভোটের হিসেব নিয়ে কোনও মতামত দেওয়া হয়নি। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট কী ফ্যাক্টর তৈরি করবে এই রাজ্যে- তা নিয়েও বিষদে বলা হয়নি। অধিকাংশ সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে বাম, কংগ্রেস ইন্ডিয়ার সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে জোট বেঁধেও ৫০টিরও বেশি আসন দখল করতে পারবে না। তাই এই রাজ্যে বাম ও কংগ্রেসের ভোট সংখ্যা আরও কমবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে জোট বেঁধে লড়াই করেনি বাম ও কংগ্রেস। কিন্তু তাতেও বামেদের কোনও সাংসদ ছিল না। কিছুটা হলেও মালদা ও মুর্শিদাবাদ মুখ রক্ষা করেছিল কংগ্রেসের। তবে বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে বিজেপি ভালো ফল করবে বলেও মনে করছেন সমীক্ষকরা।