কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও মন্তব্যে জেরে মমতার বিরুদ্ধে এফআইআর ( FIR)। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও মন্তব্যের জেরে এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কোচবিহারের একটি থানায়।
আরও পড়ুন, আইকোর মামলায় নয়া মোড়, ভোটের মাঝেই এবার মদন পুত্রকে তলব করল ED
কোচবিহারের একটি থানায় মমতার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি সিদ্দিকি আলি মিয়া। সিদ্দিকি আলি মিয়ার অভিযোগ, মমতার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও মন্তব্যে জেরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শীতলকুচি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারায় একাধিক। প্রসঙ্গত, চতুর্থ দফা ভোটের সকালেই শীতলকুচিতে গুলিতে মৃত্যু হয় এক নতুন ভোটেরের। শীতলকুচির পাগলা পীরে গুলি চলে আচমকাই। সেইসময় ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েই আচমকা আনন্দ বর্মণের পিঠে গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বছর ১৮-র ওই যুবককে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরেই উত্তাল হয়ে ওঠে শীতলকুচি। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ঘটনার দিনই অভিযোগ করেছিল মৃত কিশোরের পরিবার। তবে এখানেই শেষ নয়, ওই দিন আনন্দ পিঠে গুলি লাগার পরপরই কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ যায় ৪ জনের।
আরও পড়ুন, পঞ্চমদফার আগে BJP-র কার্যালয়ে আগুন, ফের কাঠগড়ায় তৃণমূল
মূলত, ৭ এপ্রিল কোচবিহারের সভায় গিয়ে মমতা বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোট প্রভাবিত করতে এলে কীভাবে তাঁদেরকে পালটা দিতে হবে। এরপরেই তিনি বলেন, কেন্দ্রীয়বাহিনীর জওয়ানরা অশান্তি করতে এলে ওদের ঘিরে ধরুন। আরেক দল ভোট যান। কারা এই কাজ করছে তাঁদের নাম লিখে রাখুন। এদিকে ২৮ মার্চেও একই ধরণের মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে মমতার বিরুদ্ধে। এরপরেই নোটিশ পাঠায় কমিশন। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৮ মার্চ এবং ৭ এপ্রিল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে উদ্দশ্যে করে মমতা মহিলাদের উদ্দেশ্যে 'ইমোশনাল স্পিচ' দিয়েছিলেন। এরপরেই এমন মন্তব্যের কারণ দর্শাতে বলে মমতার বিরুদ্ধে নোটিশ পাঠায় কমিশন। এদিকে তারপরে পরেই ঘটে শীতলকুচির ঘটনা। তবে কমিশনের পর এবার আরও একধাপ এগিয়ে মমতার বিরুদ্ধে করা হল এফআইআর। সবমিলিয়ে রাজ্য়ের ৮ দফার ভোটে বড় প্রভাব ফেলল শীতলকুচি।