নির্বাচনী ইস্তেহার তৈরির কাজ শুরু তৃণমূল কংগ্রেসের, জানুন কোন বিষয়গুলি পাচ্ছে গুরুত্ব

  • নির্বাচন ঘিরে চড়ছে রাজ্যের রাজনৈতিক পারদ
  • ইতিমধ্যেই প্রচারের ময়দানে নেমে পড়েছে সব দল
  • এবার নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করতে তৎপর শাসক দল
  • তাই ইস্তেহার তৈরির করার কাজ শুরু করে দিল তৃণমূল
     

Sudip Paul | Published : Jan 14, 2021 11:26 AM IST / Updated: Jan 14 2021, 05:17 PM IST

২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে সবথেকে কঠিন নির্বাচনের সম্মুখীন হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২১ বিধানসভা ভোট কার্যত অ্যাসিড টেস্ট হহততে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাছে। ২০১৯ লোকসভা ভোটে রাজ্যে ১৮টি আসনে ফুটেছে পদ্ম। ৩৪ থেকে মেনে ২২-এ চলে এসেছে শাসক দলের আসন সংখ্যা। কয়েকটি আসনে ক্লোজ ফাইটে জয় পেয়েছে ঘাসফুল শিবির। তাই ২১-এর মেগা ফাইটে নামার জন্য মানুষের কাছে কোন কোন বিষয়গুলি তুলে ধরনে শাসক দল, তা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দিয়েছে। তাই ইতিমধ্যেই নির্বাচনী ইস্তেহার নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের থেকে আগে নির্বাতনী ইস্তেহার আনতে চলেছে দল। সেই ইস্তেহারের আগামি পাঁচ বছর সরকারের রূপরেখা তুলে ধরে তা প্রচারের সময় মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে। এই বিষয়ে ইতমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে শাসক দল। তবে এবার নির্বাচনী ইস্তেহার তৈরিকে মোটেই হালকাভাবে নিচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইস্তেহার তৈরির জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যে কলকাতা সহ সব জেলা কনমিটি বিভিন্ন বিষয়ে কাজের খতিয়া জমা দিতে বলা হয়েছে। কি উন্নয়ন হয়েছে, কি হয়নি, কি সমস্যা, কোন জায়গায় শকক্তিশালী দল, কোথায় সংগঠন কমজুড়ি রয়েছে সব কিছুই রিপোর্টে পাঠাতে বলা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। সেই সব বিষয় খতিয়ে দেখেই নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করে, সকলকে চমক দিতে চাইছে শাসক দল।

২০২১ নির্বাচনের আগে দুর্নীতি, স্বজন পোষণ, সন্ত্রাস, দলে ভাঙন সহ একাধিক সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে ঘাসফুলের অন্দরে। তারউপর বিজেপির শক্তি যেভাবে তরতরিয়ে বাড়ছে তা মুখে স্বীকার না করলেও, তৃণমূলের যে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এইন নির্বাচনকে একেবারেই হালকাভাবে নিতে নারাজ ঘাসফুল শিবির। তাই সবার আগে নির্বাচনী ইস্তেহারের কাজ শেষ করে তা প্রকাশ্যে এনে ভোট ময়দানে ঝাপাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। 

Share this article
click me!