ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে লড়বেন মমতা, পদত্যাগ বর্তমান বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের

  • ভবানীপুর আসন থেকে পদত্যাগ শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের
  • বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ শোভনদেবের
  • ভবানীপুর কেন্দ্রে হবে উপনির্বাচন
  • প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Asianet News Bangla | Published : May 21, 2021 10:01 AM IST / Updated: May 21 2021, 03:44 PM IST

ভবানীপুর বিধানসভা আসনের জয়ী প্রার্থী বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করলেন বিধায়ক পদ থেকে। এবার এই কেন্দ্রে উপ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রের খবর এমনই। এই কেন্দ্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছিল।

উল্লেখ্য ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন তিনি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম আসন থেকে লড়বেন। সেই ঘোষণা অনুযায়ী নিজের বরাবরের জেতা কেন্দ্র রাসবিহারী ছেড়ে ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর ছেড়ে যাওয়া আসনে প্রার্থী হন শোভনদেব। বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে হারিয়ে জয়লাভও করেন। তবে নন্দীগ্রামে জিততে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে জয় না পাওয়ায় তাঁকে কোনও একটি আসন থেকে জিততে হবে। তৃণমূল সূত্রের খবর নিজের কেন্দ্র ভবানীপুর থেকেই উপ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মমতা। 

২০১১ -র নির্বাচনে তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠিত হবার পর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিতে আসতে হত মুখ্যমন্ত্রী থাকার জন্য। সুব্রত বক্সী ভবানীপুর বিধানসভার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবার পর, সেখান থেকে জিতে আসেন মমতা। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও এই কেন্দ্র থেকেই ভোটে দাঁড়ান তিনি। এবারের ভোটে মমতা লড়েছেন নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে। ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, যিনি দলের প্রথম বিধায়কও বটে। 

২০১৬ সালেও এই কেন্দ্রে মমতা জিতেছিলেন। সেবার তিনি পান ৬৫ হাজার পাঁচশো কুড়ি ভোট। তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কংগ্রেসের দীপা দাসমুন্সী। তিনি ৪০ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়েছিলেন ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে। ১৯৫২ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ভোট হয়েছে। তারপর এই বিধানসভা কেন্দ্রের অস্তিত্ব ছিল না। ডিলিমিটেশন কমিশনের সুপারিশে, ২০১১ সালে ফের ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে পরিণত হয়। ফলে কেন্দ্র হিসেবে ভবানীপুর ভোট প্রত্যক্ষ করেছে কমই। একবার বাদ দিলে এখানে কখনওই বামেরা জয়ের মুখ দেখেনি।

১৯৬৯ সালের ভোটে এই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন সিপিএমের সাধন গুপ্ত। এ ছাড়া শুরুতে কংগ্রেস ও পরে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষেই থেকেছে এই এলাকা। ২০১৬ সালের ভোটে এখানে বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নেতাজি পরিবারের চন্দ্রকুমার বোস। তিনি ২৬ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়েছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভবানীপুর বিধানসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের মালা রায়ের লিড ছিল মাত্র ৩১৬৮ ভোটের। বিজেপির চন্দ্রকুমার বোস লোকসভার প্রার্থী হয়ে এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৫৭৯৬৯ ভোট পান। ২০২১-এর ভোটে অবশ্য সবই পাল্টে যায়।

জানা গিয়েছে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে রাজ্যসভায় নিয়ে যেতে চলেছে তৃণমূল। এই মুহূর্তে তৃণমূলের পক্ষে দুটি আসন ফাঁকা রয়েছে রাজ্যসভায়। দীনেশ ত্রিবেদী দল বদল করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি রাজ্যসভার সাংসদ পদে পদত্যাগ করেছেন। দ্বিতীয়, মানস ভুঁইয়া সবং বিধানসভা কেন্দ্র থেকে  নির্বাচিত হয়ে বিধানসভায় এসেছেন। রাজ্যসভার সদস্য পদে পদত্যাগ করেন তিনি।

Share this article
click me!