মুর্শিদাবাদ বিধানসভা বরাবরই দেখেছে কংগ্রেস ও ফরোয়ার্ড ব্লকের দড়ি টানাটানি
২০১১ সাল থেকে টানা দুবার কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন সায়নী সিংহ রায়
এবার তিনি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী
তবে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে এই আসনে এগিয়ে ছিল বিজেপি
৭৭ সালের পর থেকে মুর্শিদাবাদ বিধানসভা আসনটি নিয়ে কংগ্রেস ও ফরোয়ার্ড ব্লকের মধ্যে দড়ি টানাটানি হলেও, সে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থেকেছে ফরোয়ার্ড ব্লকই। ৭৭, ৮২, ৯১ ও ২০০১ সালে এখান থেকে জিতেছিলেন ফরোয়ার্ড ব্লকের ছায়া ঘোষ। ২০০৬ সালে জেতেন ওই দলেরই বিভাস চক্রবর্তী। ৮৭ সালে মুর্শিদাবাদ বিধানসভায় জেতেন কংগ্রেস প্রার্থী। ৯৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হন নির্দল প্রার্থী। ২০১১ ও ২০১৬ সালে এই বিধানসভা থেকে জিতে বিধায়ক হন কংগ্রেসের সায়নী সিংহ রায়। এবারও, ২০২১ সালে প্রার্থী হয়েছেন সায়নী, তবে কংগ্রেসের নয়, তিনি এবার তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মুর্শিদাবাদ কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর গড় বলেই পরিচিত। বর্তমানে তিনি লোকসভার কংগ্রস নেতাও বটে। এই কেন্দ্রে এবার সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী নিয়াজুদ্দিন শেখ। বিজেপির প্রার্থী গৌরী শংকর ঘোষ। তৃণমূল কংগ্রেসের সায়নী সিংহরায় ২০১৮ সালে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। সে সময়ে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের শাওনি সিংহরায় ২৫,১৩৯ ভোটে তৃণমূলের অসীমকৃষ্ণ ভট্টকে পরাজিত করেন।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কিন্তু এখানে অনেকটাই ভাল ফল করেছিল গেরুয়া শিবির। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী ২৫ হাজারের মত ভোট পান। লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী হুমায়ুন কবীর ৮০ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছিলেন এই কেন্দ্রে। তিনি লিড করেছিলেন বহরমপুরে। তৃণমূল কংগ্রসের আবু তাহের খান আসনটি জিতলেও এই বিধানসভায় ৩ হাজার ভোটে পিছিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থীর চেয়ে।
সেদিকে নজর রাখলে তৃণমূল কংগ্রেস যে কিছুটা আশঙ্কায় থাকছে সন্দেহ নেই। সায়নী অবশ্য ভরসা রাখছে উন্নয়ন মন্ত্রে।
মুর্শিদাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন হবে ২৬ এপ্রিল, রাজ্যের সপ্তম দফা ভোট গ্রহণের দিন।