একটা সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ ছায়াসঙ্গী ছিলেন। কিন্তু এবার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেনি সোনালি গুহকে। তাতেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি পদ্ম পাতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও তাঁর ভাগ্যে এখনও পর্যন্ত শিকে ছিঁড়ল না। এখনও পর্যন্ত খালি হাতেই থাকতে হল সোনালি গুহকে। সাতগাছিয়া বিধানসভাকেন্দ্র থেকে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার প্রায় সবকটি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। বাদ রয়েছে মাত্র ১০টি আসন। দ্বিতীয় এই তালিকাতেও নাম নেই সোনালি। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।
অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত খালি হাতে থাকতে হয়েছে গতবারের বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী দীপেন্দু বিশ্বাসকে। তিনিও ঘাসফুলের প্রার্থী হতে না পেরে দল বদল করে বিজেপির খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেই এখনও পর্যন্ত ভোট ময়দানে নামতে পাররেন না তিনি। বিজেপির দ্বিতীয় তালিকাতেও নাম নেই দীপেন্দু বিশ্বাসের। অন্যদিকে প্রার্থী হওয়ার বাসনা নিয়ে বাম শিবির থেকে বিজেপিতে যোগ দোওয়া তমলুকের বিধায়ক অশোক দিন্দাকেও এখনও পর্যন্ত প্রার্থী করেনি বিজেপি। শুভেন্দুর সঙ্গেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন নাগরাকাটার তৃণমূল বিধায়ক সুকরা মুণ্ডা। তাঁর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে পুনা ভেঙরাকে।
সবথেকে ট্র্যাজিক ঘটনাটি ঘটেছে মালদার সরলা মুর্মুর সঙ্গে। তৃণমজোড়াফুল তাঁকে হবিবপুর কেন্দ্রের প্রার্থী করেছিল। কিন্তু আসনটি তাঁর পছন্দ হয়নি। লোকসভা ভোটের নিরিখে এই কেন্দ্রের এগিয়ে ছিল বিজেপি। আর সেই কারণেই তিনি রাতারাতি দলবদল করে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু তারপরেও ভাগ্যের পরিহাস, বিজেপির দ্বিতীয় তালিকাতেই নাম নেই তাঁর। অন্যদিকে আচমকা তাঁর এই দল বদলে অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস নতুন প্রার্থী হিসেবে প্রদীপ বাস্কেকে দাঁড় করিয়েছে। তবে এখনও ১০ আসনের প্রার্থী তলিকা প্রকাশ বাকি রয়েছে। আর সেই তালিকাতে নাম থাকার অপেক্ষায় প্রহর গুণতে হচ্ছে সোনালিদের। তবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে টিকিট পেয়েছেন রাজ্যের তিন মেয়র- সব্যসাচী দত্ত, রথীন চক্রবর্তী আর জিতেন্দ্র তিওয়ারি। টিকিট পেয়েছেন বৈশালী ডালমিয়াও।