লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ১৮টি আসনে ফুটেছিল পদ্ম। লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকে এখনও পর্যন্ত ভাঙন অব্যাহত রয়েছে শাসক দল তৃণমূল কমংগ্রেসে। মাঝে দল বদলের স্রোতে কিছুটা ভাটা আসলেও, সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর ঘাসফুল শিবির ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগদানের জোয়ার এসেছে। ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতৃত্ব বিধানসভায় ২০০ আসন জয়ের হুঙ্কার দিয়েছে। দলের ক্রমাগত ভাঙনে মুখে স্বিকার না করলেও, তৃণমূলের অন্দরে যে অস্বস্তি বাড়ছে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সূত্রের খবর, দলের তরফ থেকে সমীক্ষাকরা হয়েছিল। সেই সমীক্ষার ফল সকলকে চমকে দেওয়ার মত।
তৃণমূল কংগ্রেসর তরফ থেকে যে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল, তার ফল দেখে উচ্ছ্বসিত শাসক শিবির। কারণ সমীক্ষার ফল অনুযায়ী, বিজেপি যতই দল ভাঙাক ও আর ২০০ আসন পাওয়ার দাবি করুক, নির্বাচনে রাজ্যে ২৯৪ আসনের মধ্যে ১৮৫ থেকে ২১০টি আসনে জয়লাভ করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে কতটা কাজ করবে শুভেন্দু ফ্যাক্টর, তাও সমীক্ষায় উঠে এসেছে বলে খবর তৃণমূল সূত্রে। বিজেপিতে যোগদানের পরই অবিভক্ত মেদিনীপুরের ৩৫টি আসনেই পদ্ম ফোটানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তৃণমূলের সমীক্ষা অনুযায়ী, মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে শুভেন্দু ফ্যাক্টর কাজ করবে না বলেও সমীক্ষার রিপোর্ট উঠে এসেছে বলে দাবি ঘাসফুল শিবিরের।
কিন্তু দলীয় সমীক্ষা বাস্তবের সঙ্গে কতটা সম্পর্কিত এনিয়ে কিন্তু একটা প্রশ্ন চিহ্ন থেকেই যাচ্ছে। কারণ বাম আমলেও ২০১১ সালে সিপিএমের দলীয় সমীক্ষায় বলা হয়েছিল খুব কম হলেও ১৬০টির মতো আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বামেরা। জেলা কমিটির সমস্ত রিপোর্টও ভুল ছিল বলে পড়ে জানা গিয়েছিল। সেরকমই ভোটের আগে দলীয় কর্মীদের লড়াইয়ের ময়দানে নামাতে বা আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্যই এই সমীক্ষা কিনা তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিজেপি শিবিরের দাবি, দলের ভাঙন রোধ করতে পারছে না, পরাজয় অবশ্যম্ভাবী সেই কারণেই দলকে ভোটের ময়দানে নামাতেই এটা 'এনার্জি ডোজ'।