ভোটগ্রহণ শুরুর আর মাত্র ৩ দিন বাকি
বিজেপির কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে মমতা
শেষ পর্যন্ত কী হবে ভোটের ফল
কী বলছে সি-ভোটার'এর জনমত সমীক্ষার ফল
সাড়ে তিন দশকের বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে ২০১১ সালে পরিবর্তনের স্লোগানকে সামনে রেখে ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একক দশক পর এবার পশ্চিমবঙ্গ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপির 'আসল পরিবর্তন' স্লোগানের কড়া চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। অন্যদিকে, ভিড় দেখা যাচ্ছে সংযুক্ত মোর্চার সভাতেও। শেষ পর্যন্ত কী হবে ভোটের ফল? মমতা কি গদি বাঁচাতে পারবেন না আবার হবে ক্ষমতার পরিবর্তন? নির্বাচনের ৩ দিন আগে সামনে এল সি-ভোটার-এর জনমত সমীক্ষার ফল।
মার্চ মাসেই এই সমীক্ষা করা হয়েছে। ১৭,৮৯০ জন এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কিন্তু, এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সবার আগে আছেন। প্রায় ৫৫ শতাংশ জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমোই পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পদে সবচেয়ে উপযুক্ত প্রার্থী। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর কাজে সন্তুষ্ট বলেও জানিয়েছেন ৪৬ শতাংশ মানুষ। আবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাজে সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন ৪২.৯৯ শতাংশ। মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে খুব বেশি পিছিয়ে নেই বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপও। তাঁকে কুর্সিতে দেখতে চেয়েছেন ৩২.৩ শতাংশ। আর অনেক পিছনে থেকে তিন নম্বরে আছেন মুকুল রায়, ৬.৫ শতাংশ চেয়েছেন তাঁকে।
সি-ভোটার-এর জনমত সমীক্ষার ফল বলছে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্য়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে। ভোট প্রাপ্তির শতাংশ হিসাবে দুই দলের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য থাকবে না। ২০২১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল পেতে পারে ৪২.১ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ, ২০১৬ সালের থেকে তাদের ভোট কমবে ২.৮ শতাংশ। বিজেপি পেতে পারে ৩৭.৪ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ ৫ বছরে তাদের ভোট বাড়তে পারে ২৭.২ শতাংশ। আর বামফ্রন্ট-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট ১৩ শতাংশের বেশি ভোট পাবে না বলেই সি-ভোটারের সমীক্ষা বলছে।
সমীক্ষা অনুসারে, তৃণমূল কংগ্রেস ১৫২ থেকে ১৬৮ টি আসন জিততে পারে। আর ২০১৬ সালের মাত্র ৩টি আসনে জেতা বিজেপি ২০২১ সালে ১০৪ থেকে ১২০টি আসন জিততে পারে। আর সংযুক্ত মোর্চার ঝুলিতে যেতে পারে ১৮ থেকে ২৬টি আসন।
অর্থাৎ সি-ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, এইবার আসন সংখ্যা অনেকটা কমলেও, শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা ধরে রাখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। এইবারও বাংলা বিজেপির অধরা থাকলেও তারা রাজ্যের বৃহত্তম বিরোধী দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। আর বামেদের নেতৃত্বে সংযুক্ত মোর্চা ব্রিগেডে বড় সভা করলেও ভোট বাক্সে তার বিশেষ প্রতিফলন ঘটাতে পারবেনা। তবে জনমত সমীক্ষা অনেক সময়ই মেলে না। তাই, ২ মে এই সম্ভাব্য ফলাফল এদিক-ওদিক হয়ে যেতেই পারে।