আজ ৩০ আসনের ১৯১ প্রার্থীর ভবিষ্যত ৭৩ লক্ষ ভোটারের হাতে , কোন জেলায় কত বুথে থাকছে কত পুলিশ

৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রের ১৯১ জন প্রার্থী

মোট ভোটার ৭৩,৮০,৯৪২ জন

আজই প্রথম ফার ভোট

কত কোম্পানী কেন্দ্রীয় বাহিনী, কত রাজ্য পুলিশ দিচ্ছে নিরাপত্তা

amartya lahiri | Published : Mar 26, 2021 6:39 PM IST / Updated: Mar 27 2021, 12:10 AM IST

শনিবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ২০২১-এর প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রের ১৯১ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ৭৩,৮০,৯৪২ জন ভোটার। ৭,০৬১টি জায়গায় মোট ১০,২৮৮টি পোলিং বুথে ভোট গ্রহণ করা হবে। এই ৩০টি আসনের বেশিরভাগই মাত্র কয়েক বথর আগে পর্যন্ত ছিল মাওবাদী অধ্যূষিত। তাই প্রথম দফার নির্বাচনে নিরাপত্তার জন্য ৬৮৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া, কৌশলগত অবস্থানে মোতায়েন করা হবে রাজ্য পুলিশও। এছাড়া কোভিড-১৯ মহামারি রুখতেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

প্রথম পর্যায়ে ভোট হচ্ছে, পুরুলিয়ার নয়টি, বাঁকুড়ার চারটি, ঝাড়গ্রামের চারটি, পশ্চিম মেদিনীপুরের ছয়টি এবং পূর্বে মেদিনীপুরের সাতটি আসনে। তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি - দুই পক্ষই ২৯ টি করে আসনে প্রার্থী দিয়েছে। বিজেপি একটি আসন ছেড়েছে জোটসঙ্গী এজেএসইউকে, আর তৃণমূল এক আসনে একজন নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করছে। বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ তিন দল মিলিয়ে ৩০টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঝাড়গ্রামে বুথ প্রতি ১১ জন করে আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হবে। এর আগে কোনও রাজ্যের কোনও নির্বাচনে বুথপ্রতি এতজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান নিয়োগ করা হয়নি। এই জেলায় ১,০১০ টিকেন্দ্রে ১,৩০৭টি বুথ রয়েছে। শুধুমাত্র বুথে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যই ১২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন করা হয়েছে। আরও ১৪ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী থাকবে কুইক রেসপন্স টিম হিসাবে। এছাড়া, স্ট্রং রুম সুরক্ষিত রাখতে থাকবে এক কোম্পানি এবং জেলা ও মহকুমা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে সংরক্ষিত থাকবে আরও দুই কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী। সব মিলিয়ে ঝাড়গ্রামে ১৪৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।

অন্যান্য জেলাগুলিতে বুথ প্রতি গড়ে ছয়জন করে আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে পুরুলিয়ায়। জেলার ২,০২৫ টি কেন্দ্রে ৩,১২৭গুলি বুথে সুরক্ষা দেবেন ১৮৫ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী। এছাড়া, পূর্ব মেদিনীপুরে ২,৪ ৩৭টি বুথের দায়িত্বে ১৪৮ কোম্পানি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের ২,০৮৯ বুথের দায়িত্বে থাকছে ১২৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর বাঁকুড়ার ১,৩২৮ টি বুথ পাহাড়া দেবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৮৩ টি কোম্পানি। প্রতিটি কোম্পানি ১০০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত।

তবে, শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনীই নির্বাচনে নিরাপত্তা দেবে তা নয়, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে প্রথম দফায় ৩০টি বুথে ছড়িয়ে থাকবেন রাজ্য পুলিশের ২২,০৯২ জন সদস্যও। এরমধ্যে ১৩৩ জন ইনস্পেক্টর, ২,৬৬১ জন সাব-ইনস্পেক্টর, ৪,০১২ জন সশস্ত্র কনস্টেবল, ১৩,৯৭০ জন নিরস্ত্র কনস্টেবল এবং ১,২৬৬ জন মহিলা কনস্টেবল রয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দায়িত্ব থাকবে প্রধানত বুথ এবং আশেপাশে এলাকা সুরক্ষিত রাখা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ব্যবহার করা হবে রাজ্য পুলিশের বাহিনীকে। আর কনস্টেবলদের কাজ থাকবে ভোটের লাইন পরিচালনার করা।

Share this article
click me!