ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর নৃসিংহপুর কালনা ঘাট ভাগীরথী নদীতে। প্রত্যেক দিনের মতোই আজও ভাগীরথী নদীতে মাছ ধরছিলেন মৎস্যজীবীরা। তখনই ঘটে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
বিশালাকার পদ্মা নিয়ে প্রায়শই হইচই পড়ে যায় পদ্মার পারে। সম্প্রতি ১৬ থেকে ২০ কিলো পর্যন্ত কাতলা মাছেরও দেখা মিলেছে ওপার বাংলার জেলেদের জালে। এবার কার্যত একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল এপার বাংলাতেও। মৎস্যজীবীদের(Fisherman) জালে ধরা পড়ল ৫০ কেজি ওজনের অতিকায় মাছ(50 kg fish)। যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদীয়া(Nadia) জেলা জুড়ে। এদিকে এই ধরণের বিশালাকার মাছ ওঠায় স্বভাবতই খুশি জেলার মৎস্যজীবীরা। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর(Santipur) নৃসিংহপুর কালনা ঘাট ভাগীরথী নদীতে(Bhagirathi river)। প্রত্যেক দিনের মতোই আজও ভাগীরথী নদীতে মাছ ধরছিলেন মৎস্যজীবীরা। তখনই ঘটে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
সূত্রের খবর এদিন যখন সমস্ত জেলেরাই ভাগীরথী নদীতে মাছ ধরছিলেন তখন তাদের সঙ্গে ছিলেন এলাকার মৎস্যজীবী সখা বর্মনও। মাছ ধরার সময় তার জালেই ধরা পড়ে এক বিশাল আকারের মাছ। জাল তুলে দেখেন প্রায় ৫০ কেজি ওজনের মাছ উঠেছে তার জালে। এর পরেই গাল ভরা হাসি ফুটে ওঠে মৎস্যজীবী শখা বর্মনের মুখে।অবাক হয়ে যান অন্যান্য জেলেরাও। মুহূর্তেই খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। বিশাল আকারের মাছটি দেখার জন্য ছুটে আসে ভাগীরথী তীরবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষ। ভাগীরথী নদীর মৎস্যজীবীরা জানান মাছটির গায়ে ভারতীয় সেনা জওয়ান দের পোশাকের ছাপ থাকায় মাছটির নাম দিয়েছেন তারা মেলেটারি মাছ, যদিও মাছটি বাগার মাছ নামেই পরিচিত।
আরও পড়ুন- দুর্নীতির অভিযোগ RTI, কেস ফাইল হতেই গা ঢাকা দিলেন পঞ্চায়েত প্রধান
মৎস্যজীবীদের জালে বিশাল আকারের মাছ ধরা পড়ায় আগামী দিনে এর থেকে আরও বড় ধরনের মাছ পাওয়ার আশঙ্কা করছেন মৎস্যজীবীরা। মৎস্যজীবীরা এও জানান আজ থেকে প্রায় পঁচিশ ত্রিশ বছর আগে এই ধরনের মাছ পাওয়া যেত। কিন্তু ভাগীরথী নদীর জল দূষিত হওয়ার কারণে আর এই ধরনের মাছ তারপর থেকে আর পাওয়া যায়নি। প্রায় ৩০ বছর পরে আবার মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পরল ৫০ কেজি ওজনের বিশাল আকার মাছ। স্বভাবতই এই ঘটনায় হতচকিত সকলেই। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা বিশাল আকৃতির মাছটি আদতে ক্যাটফিশ। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন মাছটির নাম ভাঙানি। প্রায় ৫০ কিলোগ্রাম ওজনের মাছটি বিক্রি হয়েছে ২৮,০০০ টাকায়, এমনটাই জানাচ্ছে সখা বর্মন। এদিকে সখা বর্মনের জালে এই বিশালাকার মাছ ধরা পড়লেও আগামীতে এলাকার সকল জেলেই যে এই এই ধরণের মাছ পেতে মুখিয়ে আছেন তা কোনোরকম রাখঢাক না রেখেই জানাচ্ছেন তারা।