বাংলার বুকে ২০০ কোটির সাইকেল হাব, কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যের বুকেই তৈরি হতে চলেছে এবার সাইকেল হাব। বিনিয়োগ ২০০ কোটি টাকা। জেলা সফরে গিয়ে মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে এমনটাই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।

Web Desk - ANB | Published : May 18, 2022 3:36 AM IST / Updated: May 18 2022, 09:16 AM IST

রাজ্যের বুকেই তৈরি হতে চলেছে এবার সাইকেল হাব। বিনিয়োগ ২০০ কোটি টাকা। জেলা সফরে গিয়ে মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে এমনটাই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। মূলত বাংলায় তৃতীয় তৃণমূল সরকারের শুরুতেই মমতা স্পষ্ট করেছেন, এবার তাঁর অন্যতম লক্ষ্য শিল্পায়ন এবং কর্ম সংস্থান। আর সেই লক্ষ্যেই আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই এই কারণে খড়পুর বিদ্য়াসাগর শিল্প তালুকে ৩০ একর জমিও বরাদ্দ করা হয়েছে। বিনিয়োগ হবে মোট ২০০ কোটি টাকা।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেছেন,'আমি অনেকদিন ধরে আগে চেষ্টা করছিলাম। আসানসোলে আগে ছিল। সেটা উঠে গিয়েছে। সেই দুঃখ আমরা ভূলতে পারি না। আমি সবচেয়ে হ্যাপিয়েস্ট পার্সেন আজকে।' সাইকেলের কারখানা গড়বেন, এমন ৫ উদ্যোগপতিও মেদিনীপুরের ওই প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, 'আপনারা কারখানা করুন, আপনাদের সবরকম সহোযোগীতা আমরা করব।'প্রসঙ্গত, কোভিড পরিস্থিতি বহু পরিযায়ী শ্রমিক কাজ হারিয়ে ভিন রাজ্য থেকে বাংলায় ফিরে আসে। তাঁদের কর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প দফতরের অধিনে একাধিক পরিকল্পনা ছিল রাজ্য সরকারের। তার মধ্যে একটি হল সাইকেল হাব। সবুজসাথী প্রকল্পে নবম-দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের প্রতিবছর সাইকেল দিয়ে থাকে রাজ্য। বছরে গড়ে ১০ থেকে ১১ লক্ষ সাইকেল কিনতে হয় রাজ্যকে। সেই সাইকেল আসে ভিন রাজ্য থেকে। তাই রাজ্য সরকার চাইছে, সাইকেল বাংলার বুকেই তৈরি হোক। সাইকেল কারখানার সঙ্গে একযোগে গড়ে উঠতে পারে, সাইকেলের বিভিন্ন সরঞ্জাম, যন্ত্রাংশ তৈরির একগুচ্ছ অনুসারী শিল্প।এতে কর্মসংস্থানও বাড়বে।

আরও পড়ুন, 'বিহারে বন্দুক তৈরি, ঝাড়খন্ডে বর্ডার', প্রশাসনিক বৈঠকে নাকা চেকিংয়ের কড়া নির্দেশ মমতার

আরও পড়ুন, অপরিশোধিত তেলের দাম আরও কমল, আজ পেট্রোল-ডিজেল সস্তা হল কি কলকাতায়

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় আরও বলেছেন,' সবুজ সাথী প্রকল্পে আমি ১০ লক্ষ করে সাইকেল দিই প্রতিবছর। কিন্তু সাইকেলের পার্টস বাইরে থেকে আনতে হয়। সাইকেল বাইরে থেকে নিয়ে আসতে হয়। এখানে যদি সাইকেল তৈরির কারখানা করতে পারি, সেই পরিকল্পনা ছিল।' মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী-র সংযোজন, 'প্রতিবছর ১০ থেকে ১১ লক্ষ সাইকেল দিতে মোট ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়। আমাদের রাজ্যের টাকাই বাইরে চলে যেত। এখন এখানে খারখানা হচ্ছে, পরে অনেক কর্মসংস্থান হবে।' বরাত নিয়ে কোনও অসুবিধা হবে না বলে উদ্যোগপতীদের অভয় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্যোগপতিরাও জানান, খড়গপুরে একটা বৃহৎ শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠবে, যেমন লুধিয়ানায়।সাইকেল হাব তৈরিতে যাতে কোনওপ্রকার সমস্যা তৈরি না হয় প্রশাসনের পাশাপাশি নিজের দলের নেতাদেরও সেই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। খড়গপুর গ্রামীণের বিধায়ক দীনেন রায়কে তাঁর নির্দেশ, দীনেন ওখানে চলে যাবে না, চাকরি চাই বলতে। ওরা কাকে চাকরি দেবে , সেটা ওদের ব্যাপার। তোমরা কেউ কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ , জমি নিয়ে যেনও কোনও সমস্যা না হয়, 'ওখানে মোবাই পুলিশ থাকবে, নজর রাখা হবে।'

আরও পড়ুন, 'আনিসের বাড়িতে আইন মেনে তল্লাশি চালায়নি পুলিশ', হাইকোর্টে 'শাস্তির' দাবি জানালেন এজি

Share this article
click me!