নির্ভয়াকাণ্ডে দোষীদের ফাঁসি দিতে চান, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি মহিষাদলের যুবক

 

  • নির্ভয়াকাণ্ডে দোষীদের ফাঁসি দিতে চান
  • ফাঁসুড়ে হতে চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন মহিষাদলের যুবকের
  • নির্ভয়াকাণ্ডে ফাঁসি সাজা হয়েছে চারজনের
  • ফাঁসুড়ে না মেলায় বিপাকে পড়েছে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ

Tanumoy Ghoshal | Published : Dec 6, 2019 12:36 PM IST / Updated: Dec 06 2019, 06:08 PM IST

হায়দাবাদ ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তরা তো এনকাউন্টারে নিহত। কিন্তু নির্ভয়াকাণ্ডে দোষীদের ফাঁসি হবে তো? দিল্লির তিহাড় জেলের ফাঁসুড়ে হতে চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানালেন বাংলার এক যুবক। তিনি জানিয়েছেন, দেশে মহিলাদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিনা পারিশ্রমিকে ফাঁসুড়ে হিসেবে কাজ করতেও আপত্তি নেই।

২০১২ সালে ১৬ ডিসেম্বর। মধ্যরাতে দিল্লিতে চলন্ত বাসে প্যারা মেডিক্যালের এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুন করে ছয় দুষ্কৃতীরা। হায়দরাবাদ কাণ্ডে মতো সেই ঘটনায়ও দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ঘটনাটি নির্ভয়াকাণ্ড নামে পরিচিত।  পাঁচজন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে দিল্লি আদালত। তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। নাবালক হওয়ার কারণে দুই মাস জুভেনাইল হোমে বন্দি থাকার পর মুক্তি পেয়েছে আর এক অভিযুক্ত। জেলে আত্মহত্যা করেছে প্রধান অভিযুক্ত রাম সিং। বাকি চার অভিযুক্ত বিনয়, মুকেশ, পবন ও অক্ষয় এখন তিহাড় জেলে বন্দি।  জানা গিয়েছে, প্রশাসনের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছে পবন। নিয়মাফিক সেই আবেদনটি দিল্লির সরকারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ। জেলকর্তাদের অবশ্য অনুমান, বিনয়ের আবেদন মঞ্জুর হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। আর বাকিদের প্রাণভিক্ষার জন্য সময় দেওয়া হবে কিনা, তা আদালত ঠিক করবে।  কিন্তু নির্ভয়াকাণ্ডে দোষীদের যদি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ আসে, তাহলে কী হবে? চিন্তায় পড়েছেন তিহাড় জেলের কর্তারা। কারণ, জেলে এখন কোনও ফাঁসুড়ে নেই!  জানা গিয়েছে, অন্য জেলে ইতিমধ্যেই ফাঁসুড়ে খোঁজ করতে শুরু করেছেন তিহাড় জেলের কর্তারা। এমনকী, তিহাড় জেলে শেষ ফাঁসুড়ে যে গ্রামে থাকতেন, খোঁজ নেওয়া হচ্ছে সেখানেও। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সমস্যা মেটেনি বলে খবর।

আরও পড়ুন: কোথাও মিষ্টি, কোথাও লজেন্স বিলি, হায়দরবাদ এনকাউন্টরে খুশির হাওয়া বাংলায়

তিহাড় জেলের ফাঁসুড়ে হতে চেয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে আবেদন করেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের যুবক চিত্তরঞ্জন দাস। মহিষাদলের ঘাগরা গ্রামে থাকেন তিনি। পণ্যবাহী ট্রাক চালান চিত্তরঞ্জন। কাজের সুবাদে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরতে হয় তাঁকে।  এ দেশে মেয়েরা যে কতটা অসহায়, তা উপলদ্ধি করেছেন ওই ট্রাকচালক। রাষ্ট্রপতি যদি তাঁর আবেদনে সাড়া দেন, তাহলে বিনা পারিশ্রমিকেই ফাঁসুড়ে কাজ করতে রাজি চিত্তরঞ্জন দাস।  

Share this article
click me!