বেতন কাঠামোর চালুর দাবিতে কলকাতায় যখন অনশন চলছে, ঠিক তখনই পশ্চিম মেদিনীপুরে মারা গেলেন এক পার্শ্বশিক্ষক। অনশন সামিল হয়েই কি মৃত্যু হল তাঁর? এই প্রশ্ন ঘিরেই এখন বিতর্ক তুঙ্গে। মৃত রেবতী রাউতকে আন্দোলনের 'প্রথম শহিদ' বলে দাবি করেছে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চ। তাদের বক্তব্য, ১১ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় অনশন করেছিলেন রেবতী। পরিবারের দাবি, অনশন করতে গিয়ে নয়, পথ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন ওই পার্শ্বশিক্ষক।
পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুর ব্লকের দক্ষিণ বোড়াই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্বশিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন রেবতী রাউত। বেতন কাঠামো-সহ ৪ দফা দাবিতে পার্শ্বশিক্ষকরা অনশনে বসেছেন সল্টেলেকে। গত ১১ নভেম্বর থেকে চলছে অনশন। এই আন্দোলনে যোগ দিতে রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সল্টলেকে আসছেন পার্শ্বশিক্ষকরা। তবে সকলেই যে অনশনে সামিল হচ্ছেন, এমনটা কিন্তু নয়। অনেকেই স্রেফ অবস্থানে যোগ দিচ্ছেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, গত ১১ নভেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে সল্টলেকে এসে অনশনে যোগ দিয়েছিলেন রেবতী রাউত। কিন্তু অনশন চলাকালীন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। প্রথমে বিধাননগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, পরে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই পার্শ্বশিক্ষককে। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর তাঁকে বাড়িতে নিয়ে চলে যান পরিজনেরা।
জানা গিয়েছে, গত ১৮ নভেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরে মারা যান রেবতী রাউত। আন্দোলনকারীদের দাবি, অনশনজনিত অসুস্থতার কারণেই মারা গিয়েছেন তিনি। কিন্তু পরিবারের লোকেরা আবার সেকথা মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, কলকাতা থেকে বাড়ি ফেরার পর গত ১৮ নভেম্বর ছেলের বাইকে চেপে এস আই অফিসে কিছু নথি জমা দিতে গিয়েছিলেন বেরতী। এসআই অফিস থেকে ফেরার পথে তিনি অসুস্থ বোধ করেন এবং বাইক থেকে পড়ে যান। রেবতী রাউতকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে এগরা হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। হাসপাতালে মারা যান তিনি।
উল্লেখ্য, সমবেতনের দাবিতে পাশ্বশিক্ষকদের অনশন সপ্তম দিনে পড়ল। অনশন করতে গিয়ে ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই। শুক্রবার সল্টলেকে পার্শ্বশিক্ষকদের অনশন মঞ্চে যান কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেন তিনি।