মুকুল রায়ের সাসপেনশন কি উঠে গেল, বিজেপি বিধায়কের তৃণমূলের প্রত্যাবর্তনে উঠছে প্রশ্ন

  • মুকুল রায়কে সাসপেন্ড করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস 
  • ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল 
  • এখনও শেষ হয়নি সাসপেনশনের মেয়াদ 
  • তারআগেই তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন মুকুল রায়ের 
     

Asianet News Bangla | Published : Jun 11, 2021 1:00 PM IST / Updated: Jun 14 2021, 03:59 PM IST

সালটা ছিল ২০১৭। তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন দলবিরোধী কাজের জন্য মুকুল রায়কে ছয় বছরের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। একই সঙ্গে সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের আরও অভিযোগ ছিল মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছিলেন। মুকুল রায় দলের কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে পদত্যাগের খুব স্পল্প সময়ের ব্যবধানে এই ঘোষণা করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের নেত্রী, সপুত্র তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে বললেন মুকুল রায় ...

তারপর কেটে গেছে প্রায় চার বছর। মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। দিল্লির নেতাদের সঙ্গে তাঁর ওঠাবসাও ছিল। বিজেপির টিকিটে তিনি কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়কও। কিন্তু ভোটের পর থেকেই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে মুকুল রায়ের। দলবদলের জল্পনা উস্কে দিয়েছিলেন তৃণমূলের একাধিক নেতা। আর সেই জল্পনাকে সত্যি করেই শুক্রবার সপুত্র তৃণমূল কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন মুকুল রায়ের। 

মুকুল রায়ের দলবদল, পদ্মবন থেকে ঘাসফুল চার বছরের সফরনামা

মুকুল রায়ের এই প্রত্যাবর্তনের পরেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কী হবে তৃণমূল কংগ্রেসের সাসপেনশনের। কারণ সেই সময় জানান হয়েছিল তাঁকে ৬ বছরের জন্য দলবিরোধী কাজের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ৬ বছর অতিক্রম হয়নি। তারই মধ্যে এখনও পর্যন্ত কেটেছে তিন বছর নয় মাস। বাকি রয়েছে আরও প্রায় ২ বছর। কিন্তু তার আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে ঘরওয়াপাসি হল মুকুল রায়ের। তবে কি মুকুল রায়ের ওপর থেকে সাসপেনশন তুলে নেওয়া হল। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তেমন কোনও প্রসঙ্গ তোলা হয়নি। 

মোদীর সঙ্গে যোগীর ১ ঘণ্টার বৈঠক, উত্তর প্রদেশের ভোটের আগে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী ...

যদিও মুকুল রায়কে সাসপেন্ড করার আগে থেকেই তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। একাধিক দূর্ণীতি মামলায় সিবিআই ইডি তাঁর ওপর যতই চাপ বাড়াচ্ছিল তিনি ততই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছিলেন। যা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন দলের একাংশ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে সেই সময় মুকুল রায়ের পাশাপাশি তৃণমূলেরও ভবমূর্তি নষ্ট হচ্ছিল। কারণ সিবিআই ইডির তৎপরনা নিয়ে মুকুল রায়কে রীতিমত নিশানা করেছিলেন রাজ্যের তৎকালীন বিজেপি পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিং। তিনি স্লোগান তুলেছিলেন ভাগ মুকুল ভাগ। তারপরই ধীরে ধীরে মুকুল রায়ের সঙ্গে ঘনিষ্টতা বাড়তে থাকে। কৈলাশ বিজয়বর্গীয় তৎপরতায় ক্রমশই তা গাড় হয়। তারপরই মুকুল রায় যোগ দেন বিজেপিতে। 

Share this article
click me!