জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ চাইলেন বাম ছাত্রনেত্রী ঐশী ঘোষের মা শর্মিষ্ঠা ঘোষ। মঙ্গলবার দুর্গাপুরের ডিটিপিএস এক নম্বর গেটের কাছ থেকে মেয়ের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় এক প্রতিবাদ মিছিলে এসে এমনই মন্তব্য করলেন ঐশীর মা শর্মিষ্ঠা ঘোষ।
সিআইটিইউ ও আইএনটিইউসি-র যৌথ এই প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিয়ে ঐশীর মা বলেন, যেভাবে একজন উপাচার্য কেন্দ্রীয় সরকারের কথাতে চলছে, তাতে করে আজ ঐশীর ওপর হামলা হয়েছে, কাল অন্য কারও ওপর হবে। তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা কোথায়। এই বলেই থেমে থাকেননি তিনি। শর্মিষ্ঠাদেবীর আক্ষেপ, মেয়ের ওপর হামলার পর কোনও ব্য়বস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টে ঐশীর ওপর হামলার ঘটনাকে কেউ কেউ রাজনীতির অঙ্গ হিসাবে তুলে ধরছেন। এটা একদমই ঠিক নয়।
মঙ্গলবারের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে বুধবার কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা ভারত বনধকে সফল করার ডাক দেওয়া হয়। এ দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে দুর্গাপুরের প্রাক্তন বিধায়ক সিপিআই এম নেতা বিপ্রেন্দু চক্রবর্তী, ডিটিপিএস ইউনিটের সিআইটিইউ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ রায় আইএনটিইউসি নেতৃত্ব অংশ নিয়েছিলেন।
রবিবার ছাত্র সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে জেএনইউ। এবিভিপি-র গুন্ডারা হস্টেলে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাম ছাত্ররা। এই হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে বাংলার মেয়ে ঐশী ঘোষ। রক্তাক্ত অবস্থায় বাম ছাত্র নেত্রী জানান, সন্ধেবেলায় এবিভিপি-র গুন্ডারা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের হস্টেলে ঢুকে তাঁর ওপর হামলা চালায়। অভিযোগ, এ দিন সন্ধ্যার পর আচমকাই জেএনইউ ক্যাম্পাসের মধ্যে ঢুকে লাঠি, ব্যাট নিয়ে হামলা চালায় বহিরাগতরা। ঐশীর পাশাপাশি গুরুতর ভাবে আহত হন অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন। যার জেরে এইএমসের ইনটেনসিভ কেয়ারে ভর্তি করা হয় তাদের।