২০০বছরের প্রথায় পূ্র্ণছেদ,মানুষের দাবি মেনে কালীপুজোয় বন্ধ বলি

  • অবশেষে প্রায় ২০০ বছরের প্রথায় পূর্ণচ্ছেদ
  • খামারি কালী মন্দির থেকে উঠে গেল বলি প্রথা
  • পশুপ্রেমী থেকে সাধারণ মানুষ বলি বন্ধে সায় সবার
  • কীভাবে বোঝানো হল সাধারণ মানুষকে

 

Asianet News Bangla | Published : Oct 28, 2019 7:09 AM IST

এলাকার মানুষের দাবি মেনেই অবশেষে প্রায় ২০০ বছরের প্রথায় পূর্ণচ্ছেদ পড়ল। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার হাজরাপাড়া এলাকার খামারি মায়ের কালী মন্দির শুরুর সময় থেকে চলে আসছিল এই পশু বলির প্রথা। ঐতিহ্যবাহী ২০০ বছর ছুঁই ছুঁই এই পুজোয় এত বছর ধরে কোনদিনও কালীপুজোয় বন্ধ থাকেনি পশু বলি। তবে সম্প্রতি কয়েক বছর ধরে এলাকার একদল মানুষ এই পশুবলি নিয়ে আপত্তি দেখাতে থাকেন। এই বছর পাকাপাকিভাবে পশু বলি বন্ধ করতে সই সংগ্রহের নামে স্থানীয় যুবকরা। এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে, পাড়ার মোড়ে দোকানে সর্বত্র তারা প্রচার চালায় এই বলি বন্ধের দাবিতে। 

সেইমতো প্রায় ১০০ জন মানুষের কাছ থেকে বলি প্রথা বন্ধতে সম্মতি আদায় করে তাঁরা। যদিও বেশকিছু মানুষ বলি চালু রাখার পক্ষেও সওয়াল করেন। তবে রবিবার বিকেলের পাওয়া শেষ খবরে জানা যায় এইবার থেকে পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে খামারি মায়ের মন্দিরে শ্যামা পুজোয় পশু বলির প্রথা। এ ব্যাপারে বলি বন্ধের পক্ষে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এলাকার তরুণ প্রজন্ম তো বটেই সেই সঙ্গে প্রবীণেরাও একমত হয়ে এই পশুবলি বন্ধে সম্মতি জানিয়েছে। তারপরেই বলি তুলে দেওয়া হয়েছে মন্দির থেকে।

কালীপুজোর আগে রাজ্যের বহু মন্দির থেকেই বলি প্রথা তুলে দেওয়ার দাবি জানায় পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি। এই নিয়ে বহুবার রাস্তায় নেমেছে তাঁরা। পশু বলি সমাজের বুকে কী বিরূপ প্রভাব ফেলে তা নিয়েও বহুবার আলোচনা হয়েছে। তা সত্ত্বেও বলি বন্ধ হয়নি অনেক কালীপুজোয়। কিন্তু ধীরে ধীরে দেখা যাচ্ছে, বহু মন্দির তথা কালীপুজো থেকে এই বলি তুলে দেওয়া হচ্ছে। মূলত, এই বলি বাচ্চাদের মনে খুবই খারাপ প্রভাব সৃষ্টি করে। এমনই মনে করছেন মনোবিদরা। তাঁদের মতে, যেখানে সামান্য ইনজেকশন নিতে বাচ্চারা ভয় পায়, সেখানে প্রকাশ্য়ে বলি দেখতে পেলে ভয় পেতে পারে তারা। এনেক সময় এর থেকে জ্বরও হতে পারে। এমনকী ছোটবেলার এই স্মৃতি বড় হলেও থেকে যায়। যা তাঁদের শৈশবকে হিংসাত্বক করতে পারে।   
 

Share this article
click me!