'টসে' জয়ী তৃণমূল প্রার্থী, সমান ভোট পেয়েও হেরে গেল বামেরা - বিরল ঘটনা আসানসোলে

আসানসোল পৌরসভা নির্বাচনে (Asansol Municipal Elections 2022) ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে সমসংখ্যক ভোট পেয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) এবং বামফ্রন্ট (Left Front) প্রার্থী। টসে জিতে কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন, তৃণমূল প্রার্থী আশা প্রসাদ। 
 

Web Desk - ANB | Published : Feb 14, 2022 10:15 AM IST / Updated: Feb 14 2022, 03:52 PM IST

আসানসোল পৌরসভা নির্বাচনে (Asansol Municipal Elections 2022) তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) জয়জয়কার। এখনও পর্যন্ত ১০৬টি আসনের ৯০টিতেই হয় জয়ী হয়েছে নাহলে এগিয়ে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) দল। এমনকী, টসভাগ্যও সঙ্গ দিল ঘাসফুল শিবিরের। সোমবার, পুরনিগম নির্বাচনের ফল বের হতেই দেখা যায়, আসানসোলের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটেছে এক বিরল ঘটনা। তৃণমূল কংগ্রেস এবং বামপ্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটে সংখ্যা একেবারে এক। অর্থাৎ, ফলাফল টাই হয়েছে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকার হিসাবে দুই প্রার্থীকে সামনে রেখে করা হল টস। আর টসে জিতে কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন, তৃণমূল প্রার্থী আশা প্রসাদ। 

এদিন, আসানসোলের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ফল বের হতে দেখা যায়, তৃণমূল প্রার্থী আশা প্রসাদ এবং সিপিআইএম প্রার্থী তনুশ্রী রায় - দুজনেই ভোট পেয়েছেন ২৩৫৮টি করে। অনেকটা পিছনে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী রেখাকুমারী শর্মা, ভোট পান ১,০০২ টি। তাহলে কে হবেন কাউন্সিলর? এই বিরল অবস্থায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেয়, তৃণমূল ও বাম প্রার্থীর মধ্যে টস করা হবে। সেই মতো এদিন বেলা ২টোয় দুটি কার্ডে নাম লেখা হয় দুই প্রার্থীর। কমিশনের এক অধিকর্তা, দুই প্রার্থী ও কমিশনের অন্যান্য অধিকর্তাদের সামনে একটি কার্ড তোলেন। তাতে নাম ছিল আশা প্রসাদের। তাই তাঁকেই জয়ী ঘোষণা করা হয়। 

আরও পড়ুন - বিধাননগরে প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের নামে পড়ল ভোট, অভিযোগ বামেদের

আরও পড়ুন - 'বিধানননগরে মেয়র মমতা' - চমকে দিলেন সব্যসাচী, স্ত্রী পেলেন দিদির ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপহার

আরও পড়ুন - কলকাতার পর চার পুরভোটেও দ্বিতীয় স্থানে বামেরা, রাজ্যে বিরোধী মুখ বদলের ইঙ্গিত আরো তীব্র

পুরভোট বা পঞ্চায়েত নির্বাচনে ছোট জায়গায় নির্বাচন হয়। তাই, জয়ের ব্যবধান খুব বেশি হয় না। সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যে টাই ফল একেবারেই বিরল হলেও, এরকমটা এর আগে কখনও হয়নি তা নয়। পুরভোট বা পঞ্চায়েত ভোটে এইরকম পরিস্থিতি তৈরি হলে এর আগেও টাই ভাঙতে টস করা হয়েছে। তবে, এর আগে টসের জন্য ব্যবহার করা হত ১০ পয়সা। হেড-টেলের মাধ্যমে নির্বাচিত হতেন জনপ্রতিনিধিরা। এখন ১০ পয়সার বদলে এসেছে কার্ড ব্যবস্থা। দীর্ঘদিন বাদে ভোটে টসের মাধ্যমে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হল।  

তবে, এতে নির্বাচন কমিশন সবথেকে খুশি হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গত ১২ ফেব্রুয়ারি পুরনির্বাচনের দিন আসানসোলের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির অভিযোগ উঠেছিল। বুথে বুথে দেদার ছাপ্পা ভোট, দুটি ওয়ার্ডে গুলি চলার অভিযোগও করেছিলেন বিরোধীরা। তবে শাসক দলের সুরে সুর মিলিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission) গুলি চলা থেকে শুরু করে যাবতীয় অশান্তির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল। এই অবস্থায়, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে দুই প্রার্থীর সমসংখ্যক ভোট প্রাপ্তি তাদের দাবিকেই মান্যতা দিচ্ছে বলে মনে করছে কমিশন। তাদের যুক্তি,  হামলা বা ছাপ্পার ঘটনা ঘটলে, দুই প্রার্থী কীকরে সমসংখ্যক ভোট পেতে পারেন?

৩১ নম্বর ওয়ার্ডের এই ঘটনার পাশাপাশি আসানসোলের ৪০ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ইভিএম বিভ্রাটের ঘটনাও ঘটেছে। এই দুই জায়গাতেই সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছে কমিশন। সব দলের প্রার্থীদের ডাকা হয়েছে। পুনর্নির্বাচনও হতে পারে। 
 

Share this article
click me!