মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রস্তাব মানছেন না অশোক, ছুড়ে ফেলে দিলেন প্রশাসকের পদ

  • শিলিগুড়ি পুর কর্পোরেশনে কোনও সমঝোতা নয়
  • তৃণমূল-কে এই বার্তা দিলেন বিদায়ী মেয়র অশোক ভট্টাচার্য
  • যার ফলে শিলিগুড়ি পুর কর্পোরেশনে প্রশাসক পদে তিনি বসছেন না
  • নিজ বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে সে কথা জানিয়েও দেন তিনি
     

Asianet News Bangla | Published : May 15, 2020 5:26 PM IST / Updated: May 15 2020, 11:26 PM IST

মিঠু সাহা, প্রতিবেদক-- প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান পদ প্রত্যাখান করলেন অশোক ভট্টাচার্য। যা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে শিলিগুড়ির রাজনৈতিক মহলে। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ১৭ তারিখ বোর্ডের মেয়াদ শেষ হলে পুরনিগমের দ্বায়িত্বভার কার ওপর বর্তাবে। স্বাভাবিকভাবেই অচলবস্থা দেখা দিতে শুরু করেছে শিলিগুড়িতে। 

চলতি মাসের ১৭ তারিখ বাম পুর বোর্ডের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। এমতবস্থায় শিলিগুড়ি পুরনিগমে প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। কলকাতা পুরনিগমের ন্যায় প্রাক্তন মেয়রকেই প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান করা হয় শিলিগুড়িতেও। সেই প্রশাসক মন্ডলীতে নাম রয়েছে বাম পুর বোর্ডের বিদায়ী মেয়র পারিষদেরা। একইসঙ্গে নাম রয়েছে পাঁচ তৃণমূল কাউন্সিলরের। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান পদ প্রত্যাখ্যানের কথা স্পষ্ট করলেন তিনি। 

শুক্রবার সন্ধ্যেবেলা সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে বলেন, 'আমাকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে একইসঙ্গে ছয়জন মেয়র পারিষদকে প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য করা হয়েছে। যদিও সেই মন্ডলীতে এবার স্থান দেওয়া হল তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচজন কাউন্সিলরকেও। যদিবা  কলকাতা পুরসভা বা অন্য কোথাও বিরোধীদের রাখা হয়নি প্রশাসক মন্ডলীতে। সেক্ষেত্রে শিলিগুড়িতে কেন? রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক অনৈতিক। আমরা রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং তা প্রত্যাখ্যান করছি। দাবি করছি এই নির্দেশ নামা বাতিল করা হোক। সবক্ষেত্রে একই নিয়ম পালন করা হোক।'

 

দিন কয়েক আগেই নবান্নে এক বৈঠক হয়। সেখানে মেয়াদকাল শেষ হতে চলা পুরসভা এবং পুরনিগমগুলির পরিচালন ব্যবস্থা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়। বর্তমানে করোনাভাইরাসের জেরে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে পুরনির্বাচন স্থগিত হয়ে গিয়েছে। তারপরে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রে বিজেপি- সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধিতার সুর বামেরাও চড়িয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে নবান্নে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক পদে অশোক ভট্টাচার্যকে রাখা হবে। সেই মোতাবেক অশোক ভট্টাচার্যকেও তা  জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নগরোন্নয়ন দফতরকেও এর জন্য নোটিফিকেশন জারি করতে বলা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি পুরনিগমে শুক্রবার সেই নোটিফিকেশন পৌঁছয়। কিন্তু দেখা যায়, অনৈতিকভাবে পুরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীতে বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেসের রঞ্জন সরকার-সহ চার কাউন্সিলরকে রাখা হয়েছে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন অশোক ভট্টাচার্য। কারণ, প্রশাসকমণ্ডলীতে শাসক বোর্ডের সদস্যদের থাকার কথা। এরপরই অশোক ভট্টাচার্য প্রশাসক পদ গ্রহণ না করা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেন। রাতেই সাংবাদিক সম্মেলন করে পদ প্রত্যাখান করার কথা জানিয়ে দেন। 

Share this article
click me!