বনধে ধেয়ে আসতে পারে ইট-পাথর, হেলমেটে ভরসা বাসচালকের

সোমবার সকাল থেকে বনধের সমর্থনে রাস্তায় নামে বামেরা। বেশ কিছু জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সমর্থনকারীদের ধ্বস্তাধস্তি হয়। আর বনধে অপ্রীতিকর ঘটনার হাত থেকে বাঁচতে হেলমেট পরে বাস চালাতে দেখা গেল চালকদের।  

Web Desk - ANB | Published : Mar 28, 2022 4:16 AM IST / Updated: Mar 28 2022, 09:52 AM IST

কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Govt) একাধিক নীতির প্রতিবাদে দু’দিনের সাধারণ ধর্মঘটের (Bharat Bandh) ডাক দিয়েছে শ্রমিক সংগঠন, ব্যাঙ্ক কর্মচারী (Bank Staff) সংগঠন-সহ বিভিন্ন সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পর দুইদিন ধরে দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্য সরকার বনধের বিরোধিতা করেছে। অফিস-আদালত, পরিবহন, দোকান-বাজার সব সচল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে বনধের সমর্থনে রাস্তায় নামে বামেরা (CPIM)। বেশ কিছু জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সমর্থনকারীদের ধ্বস্তাধস্তি হয়। আর বনধে অপ্রীতিকর ঘটনার হাত থেকে বাঁচতে হেলমেট (Helmet) পরে বাস চালাতে দেখা গেল চালকদের (Bus Driver)।  

৪৮ ঘণ্টার বনধ সমর্থন করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল নবান্নের তরফে। পাশাপাশি সরকারি কর্মীদেরও অফিসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্ন থেকে জারি কড়া নির্দেশিকায় সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২৮ ও ২৯ মার্চ খোলা থাকবে অফিস (office), আদালত (court), স্কুল (school), কলেজ (college)। ওই দুটি দিন কোনও সরকারি কর্মচারীর ছুটি মঞ্জুর করা হবে না। আর যদি কেউ ছুটি নেন তাহলে তাঁর একদিনের বেতন ও কর্মজীবন থেকে একদিন বাদ যাবে (dies-non)। 

আরও পড়ুন- সপ্তাহের শুরুতেই দেশজুড়ে ধর্মঘট, অনুপস্থিত থাকলেই কাটা যাবে বেতন, কড়া নির্দেশ নবান্নর

বাসে বনধ সমর্থনকারীদের হামলা

নবান্নের তরফে এই নির্দেশের ফলে বনধের দিনও সকাল থেকেই রাস্তায় সরকারি বাসের দেখা মিলেছে। আর বনধের সময় কোনও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটলেও তখন যাতে প্রাণ সংশয় না হয় তার জন্য হেলমেট পরেই বাস চালাতে দেখা গেল বাস চালকদের। হাওড়াতেই ধরা পড়েছে এই ছবি। হাওড়া-আমতা রুটের একটি সরকারি বাসের চালককে হেলমেট পরে বাস চালাতে দেখা গিয়েছে। বনধের সমর্থনে হাওড়া-আমতা রোড অবরোধ করেন বনধ সমর্থকরা। রাস্তা অবরোধ করায় বন্ধ করে দেওয়া হয় বাস। যার ফলে আটকে পড়েন যাত্রীরা।

আরও পড়ুন- ভারত বনধের প্রভাব জেলায় জেলায়, যাদবপুরে ট্রেন অবরোধ সমর্থনকারীদের

তবে হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি। বাস টার্মিনাল, দূরপাল্লার ও লোকাল ট্রেন ও ফেরি পরিষেবাও সচল রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। অন্যান্য দিনের মতোই হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকা ও হাওড়া ব্রিজেও জনজীবন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে। যদিও জেলার বেশ কিছু স্থানে মিছিল করে বামেরা। হাওড়ার দাসনগর সানপুর মোড়ের কাছে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বনধ সমর্থনকারীদের। তারা শানপুর মোড় অবরোধের চেষ্টা করে। উপস্থিত পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়ে বাম কর্মীরা। বেশ কিছুক্ষণ এই পরিস্থিতি চলার পরে পুলিশ তাদের রাস্তা অবরোধ তুলে দেয়। ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করে দাসনগর থানার পুলিশ। 

আরও পড়ুন- আজ কি বৃষ্টি হবে কলকাতায়, শহরের তাপমাত্রা নিয়ে কী বলছে হাওয়া অফিস

Share this article
click me!