সঞ্জীবকুমার দুবে, পূ্র্ব মেদিনীপুর: সরকারি বাস পরিষেবা কবে স্বাভাবিক হবে? খোদ পরিবহণ মন্ত্রীর জেলায় যাত্রীদের দুর্ভোগ অব্যাহত। পূর্ব মেদিনীপুর সরকারি বাস চলছে না বলেই চলে। রাস্তায় বেরিয়ে নাকাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কের মাঝে সচল পরিবহণ, সরকারি বাস পরিষেবা চালু হুগলিতে
গ্রিনজোন কিংবা রেডজোনের তো ব্যাপার নেই। আনলক পর্বে যাত্রী পরিবহণের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ আরও শিথিল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি ও বেসরকারি বাস চালাতে গিয়ে লোকসান হচ্ছে। এবার থেকে বাসে যতগুলি সিট, ততজন যাত্রী নেওয়া যাবে। তবে অতিরিক্ত কোনও যাত্রী বাসে উঠতে পারেন না। সোজা বাংলায়, বাসে কেউ দাঁড়াতে থাকতে পারবেন না। এখানেই শেষ নয়। মুখ্যমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, হ্যান্ড স্যানিটাউজার নিয়ে উঠতে হবে, সিটের যত্ন নিতে হবে যাত্রীদের। প্রয়োজনে সিটে কাগজ পেতে বসতে হবে।
কলকাতায় তো বটেই, মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে সোমবার থেকে রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই সরকারি বাস রাস্তায় নেমেছে। একমাত্র ব্যতিক্রম পূর্ব মেদিনীপুর। ঘটনাচক্রে, এই জেলার বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী আবার রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী। যাত্রীদের অভিযোগ, পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়া তো দূর, দু'একটা সরকারি বাস যদিওবা চলছে, সেগুলি নির্দিষ্ট স্টপেজে দাঁড়াচ্ছে না! ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: 'শীঘ্রই শহরে নামছে বেসরকারি বাস', কী বললেন সিন্ডিকেটের সাধারন সম্পাদক
কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতি? জানা গিয়েছে, বাসমালিকদের সঙ্গে জেলাশাসকের দপ্তরে বৈঠকে বসেছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বৈঠকে পরিবহণ কর্মীদের নিরাপত্তা, বাসস্ট্যান্ডগুলি জীবাণুমুক্ত করা-সহ বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে আলোচনাও হয়। ১ জুন পরীক্ষামূলকভাবে দূরপাল্লার বাসও চালানো হয়, কিন্তু তেমন যাত্রী পাওয়া যায়নি। তাহলে কি সরকারি বাস চলবে না? প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।