Christmas: জেনে নিন বড়দিনের এক অন্য আখ্যান, কৃষ্ণনগর চার্চে সাজ সাজ রব

অনেক ঐতিহাসিকদের মতে যিশুর জন্মের আগে থেকে রোম দেশে খ্রিস্টান সম্রাটের আমলে প্রথম ২৫ শে ডিসেম্বর দিনটিকে পালন করা হতো । পরবর্তী কালে পোপ জুলিয়াস আনুষ্ঠানিক ভাবে এই দিনটিকে যিশুর জন্ম দিন হিসাবে ঘোষণা করে । 

Asianet News Bangla | Published : Dec 24, 2021 3:02 PM IST

২৫ শে ডিসেম্বর অর্থাৎ বড়দিনের (Christmas) প্রাক মুহূর্তে নদিয়ার কৃষ্ণ নগরের ক্যাথলিক চার্চেও (Catholic Church) উৎসবের আমেজ।  সেজে উঠেছে চার্চ।  খ্রিস্টমাস আগত মানেই নতুন ইংরিজি বর্ষ অর্থাৎ ২০২২ আমাদের দরজায় করা নাড়ছে । কিন্তু বড়ো দিন কি ? কেনো খ্রিস্টান রা এই দিনটিকে এত আড়ম্বরের সাথে পালন করেন ? কৌতূহল কিন্তু থেকেই যায় মানুষের মনে । বাইবেল অনুযায়ী যিশুর জন্ম তারিখের কোনো উল্লেখ নেই । কিছু ঐতিহাসিকদের মতে বেথলেহেম শহরে কুমারী মা মেরির কোলে জন্ম নিয়ে ছিলেন যীশু । যীশুকে ঈশ্বরের প্রেরিত দূত বা ঈশ্বরের পুত্র বলে অভিহিত করা হয় । কারণ তার আবির্ভাব ঘটেছিল মানুষ ও ঈশ্বরের প্রতি ভালোবাসা জাগাতে ,  হিংসা মুছে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ হতে । তবে যিশুখ্রিস্টের মৃত্যুর কয়েক শো বছর পর থেকে ২৫ ডিসেম্বর সারম্বরে পালন করা হয় । 

অনেক ঐতিহাসিকদের মতে যিশুর জন্মের আগে থেকে রোম দেশে খ্রিস্টান সম্রাটের আমলে প্রথম ২৫ শে ডিসেম্বর দিনটিকে পালন করা হতো । পরবর্তী কালে পোপ জুলিয়াস আনুষ্ঠানিক ভাবে এই দিনটিকে যিশুর জন্ম দিন হিসাবে ঘোষণা করে । যদিও ইতিহাস সূত্রে জানা যায় রোম সাম্রাজ্যের শাসনকালে ইউরোপে সবচেয়ে বড়ো উৎসব ছিল তাঁদের কৃষিদেবতা ও শনি গ্রহের উপাসনা। এই দুটি উৎসবে বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হত। এই অনুষ্ঠানটি শীতকালের মাঝামাঝি ২৫ ডিসেম্বরে পালিত হতো । সেই সময় রোম সাম্রাজ্যের সমস্ত ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতো । এই অনুষ্ঠানে ধনী দরিদ্র , ছোটো বড়ো প্রত্যেকেই তারা ভেদাভেদ ভুলে মেতে উঠত । যদিও যীশুর অনুগামীরা এই অনুষ্ঠানকে  বিধর্মী অনুষ্ঠান বলে মনে করতো । 

যিশুর জন্মদিন সম্পর্কে তারা সকলেই অনিশ্চিত ছিলেন বলে তাঁরা পুনুরুথানের দিনের কাছাকাছি সময়কেই তার জন্মদিন হিসাবে পালন করতে শুরু করেন । ঐতিহাসিক তথ্যানুসারে আরো জানা যায় , কুমারী মরীয়ম গর্ভবতী হবার দিন থেকে ৯ মাস হিসাবে ২৫ ডিসেম্বর যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন । ৩৩৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে রোমান বর্ষপঞ্জিতে ২৫ শে ডিসেম্বর কে বড়দিনের  উৎসব হিসাবে উদযাপন করার নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে । রোমান সাম্রাজ্যে খ্রিস্ট ধর্ম রাষ্ট্র ধর্ম হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে । ফলে বড়ো দিন তার প্রাণ ফিরে পায় । 

তবে নদিয়ার কৃষ্ণ নগর শহরে বড়ো দিনের উৎসবেকে কেন্দ্র করে যে মেলা বসে বিগত বছর করোনা প্রেক্ষাপটে কিছুটা ঝিমিয়ে গেলেও এবছর আবার তার গতি ফিরে পাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে । তবে হিন্দুদের দূর্গা পুজোর মতই খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের এই উৎসবটি । এই সময় তারা কেক কেটে , একে অপরকে নতুন উপহার প্রদান করে , বাড়ি ঘর পরিচর্যা করে প্রভু যীশুকে স্মরণ করে । সনাতন ধর্মের ন্যায় মন্দিরের মতই চার্চ তাদের কাছে পবিত্র স্থান । এবছর ও প্রচুর ব্যাবসায়ী এই অঞ্চলে বিভিন্ন খাবারের স্টল থেকে শুরু করে দোকানের পসরা সাজাচ্ছেন । এমনই চিত্র ধরা পড়লো আমাদের ক্যামেরায়।

Share this article
click me!