চারপাশ থেকে ক্রমে জাল গুটিয়ে আসছে কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল রাজীব কুমারের। আইনি রক্ষাকবচের মেয়াদ ফুরিয়েছে। এখনও আগাম জামিনের আবেদন রার সুযোগও পাননি। এর মধ্যেই তাঁর দেশত্য়াগের সম্ভাবনাও ছেঁটে ফেলা হল। তাঁর নামে 'লুক-আউট সার্কুলার' জারি করল সিবিআই। অর্থাত দেশের কোনও বিমনানবন্দর দিয়ে রাজীব যদি বিদেশে পারি দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে অভিবাসন দফতর তাঁকে আটক করে তুলে দেবে সিবিআই-এর হাতে।
জানা গিয়েছে আগামী একবছরের জন্য জারি থাকবে এই সার্কুলার। আগামী বছরের ২৩ মে সার্কুলারের মেয়াদ ফুরোবে। অবশ্য তার সময়সীমা বাড়ানোর সুযোগও রয়েছে সিবিআই-এর হাতে। তবে এই সার্কুলার জারির পর সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে রাজীবকে গ্রেফতারিতে সম্ভবত তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে যাবতীয় প্রমাণাদি সংগ্রহ করে, আঁটঘাঁট বেঁধে তবেই হয়তো সেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
চলতি বছরেই সারদা মামলার তদন্তে তাঁকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করতে চাইছে সিবিআই এই অভিযোগ করে তাঁর পক্ষ নিয়ে ধরনায় বসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু মমতা এখন নিজেই বিপর্যস্ত। সেই সঙ্গে রাজীব এখন আর রাজ্যেও নেই। ভোটের আগেই তাঁকে প্রথমে পুলিশ কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে সিআইডি’র অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্ট জেনারেল করা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সেখান থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেয়। আপাতত দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অফিসার তিনি। ফলে আনুষ্ঠআনিকভাবে গ্রেফতার না হলেও তিনি আসলে সিবিআই-এরই করায়ত্ত বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।