বস্ত্রশিল্পের ওপর জিএসটি বাড়িয়ে পাঁচ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ করা হচ্ছে। ফলে দেড় কোটি মানুষ চাকরি হারাতে চলেছে এবং এক লক্ষ ইউনিট বন্ধ হয়ে যাবে। টুইটে এমনই লেখেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। ১ জানুয়ারি থেকে বস্ত্রশিল্পে বাড়তে চলেছে জিএসটি। মোদীর এই পদক্ষেপের কটাক্ষ করেন অমিত মিত্র। টুইটে লিখলেন, আরও একটি ভুল পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরকার।
মোদীর নতুন পদক্ষেপ নিয়ে কটাক্ষ করলেন অমিত মিত্র (Amit Mitra)। মোদীর জিএসটি বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে বিরোধীতার সুর দেখা গেল তাঁর গলায়। আগামী ১ জানুয়ারী থেকে বস্ত্রশিল্পে জিএসটি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার (Modi Government)। বস্ত্র শিল্পের ওপর জিএসটি বাড়িয়ে পাঁচ শতাংশ থেকে হবে ১২ শতাংশ। মোদীর এই সিদ্ধান্তের জোড় কটাক্ষ করলেন অমিত মিত্র। টুইটে (Tweet) মন্তব্য করেন তিনি। লেখেন, ‘মোদী সরকার ১ জানুয়ারি আরও একটি ভুল পদক্ষেপ নিতে চলেছে। বস্ত্রশিল্পের ওপর জিএসটি বাড়িয়ে পাঁচ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ করা হচ্ছে। ফলে দেড় কোটি মানুষ চাকরি হারাতে চলেছে। এবং এক লক্ষ ইউনিট বন্ধ হয়ে যাবে। মোদীজি, এখনই একটি জিএসটি কাউন্সিলের সভা ডাকুন এবং লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষের মাথায় এই ঘাতক তরবারি পড়ার আগে সিদ্ধান্ত বদলে দিন।’
অমিত মিত্রের এই টুইটের জবাব দেওয়া হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এই বিষয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের বস্ত্রশিল্পে গত দু বছরে ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। সে কারণে ভারত সরকার একটু বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে এই বিষয়ে। সরকার যেমন জিএসটি ১২ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তেমনই কাঁচামালের ওপর জিএসটি কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কাঁচামালের ওপর জিএসটি (GST) ছিল ১৮ শতাংশ, যা কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে গোটা ব্যবস্থায় ভারসাম্য আছে। ফলে কারও চাকরি যাবে না।’
এদিকে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী (Amit Mitra) দাবি করেছেন, জিএসটি ১২ শতাংশ হলে প্রায় দেড় কোট মানুষ কর্মচ্যুত হবেন। আর বন্ধ হয়ে যাবে এক লক্ষ উৎপাদন ইউনিট। অমিতের এই মন্তব্যর ঘোর বিরোধীতা করেন শমীক ভট্টাচার্য। এমনকী, বিরূপ মন্তব্য করেন অমিত মিত্র প্রসঙ্গে। তিনি বলেন, অমিতবাবু আসলে মেঘের আড়াল থেকে তির ছুঁড়ে দেন। তাঁর নেতৃত্বেই পশ্চিমবঙ্গে একটি দেউলিয়া রাজ্যে পরিণত হয়েছে।
সে যাই হোক, ১ জানুয়ারি থেকে বাড়তে চলেছে জিএসটি (GST)। বস্ত্র শিল্পের ওপর বাড়তি জিএসটি বসবে। যে ক্ষেত্রে এতদিন ৫ শতাংশ ট্যাক্স (Tax) দিতে হত, তা এখন থেকে দিতে হবে ১২ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সরকারের এই নতুন সিদ্ধান্তে যে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়তে চলেছে তা অনেকেই আন্দাজ করেছেন। এখন দেখার এই জিএসটি সত্যিই ভারতীয় অর্থনীতিতে কোনও পরিবর্তন আনতে পারে কি না।