নির্বাচনী ময়দানে এবার নামতে চলেছে বাম-কংগ্রেস, জোটে সিলমোহর দিলেন সনিয়া

সিলমোহর পড়ল বাম-কংগ্রেস জোটে

সনিয়া গান্ধী এই জোটকে সরকারিভাবে অনুমোদন দিলেন

বৃহস্পতিবার এই কথা জানালেন অধীররঞ্জন চৌধুরী

ইতিমধ্য়েই ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি-তৃণমূল

 

amartya lahiri | Published : Dec 24, 2020 10:11 AM IST / Updated: Dec 24 2020, 03:49 PM IST

আগেই আসন্ন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ার কথা জানিয়েছিল বামফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার এই নির্বাচনী জোটের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিল কংগ্রেস হাই কমান্ড। এদিন টুইট করে তা জানান কংগ্রেসের লোকসভার পরিষদীয় দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী।

নির্বাচনের হিসাব মতো এখনও ছয় মাস বাকি। তবে ইতিমধ্যেই রাজ্যে নির্বাচনের দামাম বেজদে গিয়েছে। রাজ্যে ইতিমধ্য়েই দুবার পা পড়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-এর। একবার এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা তাদের দেওয়া দায়িত্ব পাল করা শুরু করে দিয়েছে। কাজ করতে শুরু করে দিয়েছে বিজদেপি ভঙোট মেশিনারি। বসে নেই তৃণমূল কংগ্রেসও। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় প্রত্যক্ষভাবে না হলেও বিভিন্ন সভা থেকে নির্বাচনী হুঙ্কার দেওয়া শুরু করেছেন। কাঁথিতে জনসভা করেছেন সৌগত রায়, ফিরহাদ হাকিম। স্থানীয় স্তরেও শুরু হয়ে গিয়েছে মিছিল মিটিং। শুধু ময়দানে এখনও দেখা যাচ্ছে না বাম কংগ্রেস কে।

কোথায় তারা? সূত্রের খবর, এই নিয়ে কিছুটা অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছিলেন রাজ্যের বাম নেতারাও। ২০১৬ সালের নির্বাচন অনেকেই মত দিয়েছিলেন অনেক দেরী করে শুরু করায় বাম-কংগ্রেসের জোট সেভাবে দানা বাঁধতে পারেনি। এবারও ট্রেন মিস হওয়ার ভয়ে ভুগছেন বাম নেতারা। যত শীঘ্র সম্ভব, কৃষক আন্দোলনকে সামনে রেখে এখন থেকেই কাস্তে-হাতুড়ি এবং হাত-এর পতাকা নিয়ে একসঙ্গে মিছিল মিটিং করতে চান তাঁরা। শোনা যাচ্ছে, এখন থেকে প্রচার শুরু না করলে বিজেপির চোরা শিকারে আরও কিছু নেতা হারানোর ভয়ও রয়েছে। কিন্তু, বাধ সাধছিল কংগ্রেস হাই কমান্ডের অনুমোদন না পাওয়া। রাজ্য়ের কংগ্রেস নেতারা জানিয়েছিলেন, হাই কমান্ডের সাড়া মা পাওয়ার আগে যৌথ কর্মসূচি সম্ভব নয়।

আসন্ন নির্বাচনে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসকে সমান ভাবে আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। রাজ্যে বিজেপির উত্থানের পিছনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলই দায়ী, এই প্রচারই তাঁরা মানুষের কাছে নিয়ে যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। কৃষি আন্দোলন, সিএএ-এনআরসি, ৩৭০ ধারা প্রত্য়াহারের মতো বিষয় নিয়ে একদিকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করা হবে, অন্যদিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচার থাকবে আমফান দুর্নীতি, অন্যান্য প্রকল্পে দুর্নীতি, অনুন্নয়ন-এর মতো বিষয় নিয়ে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস ৪৪ টি আসন, বামফ্রন্ট ২৬টি আসন জিতেছিল। তৃণমূল পেযেছিল ২১১ এবং বিজেপি পেয়েছিল ৩ টি আসন। এবার গতবারের ফলাফলে ব্যাপক পরিবর্তন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

Share this article
click me!