কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের বাকি জেলাগুলিতেও হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এমতাবস্থায় এক লাফে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে করোনা আক্রান্ত বেড়ে গেল অনেকটাই৷ রবিবার রাত পর্যন্ত দৈনিক করোনা আক্রান্ত ছিল ১৫ জন৷ সোমবার রাতে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩।
কমছে না উদ্বেগ। কলকাতার(Coronavirus in Kolkata) পাশাপাশি রাজ্যের বাকি জেলাগুলিতেও হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এমতাবস্থায় এক লাফে পশ্চিম মেদিনীপুর(West Midnapore) জেলাতে করোনা আক্রান্ত বেড়ে গেল অনেকটাই৷ রবিবার রাত পর্যন্ত দৈনিক করোনা আক্রান্ত(Corona Infected) ছিল ১৫ জন৷ সোমবার রাতে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩। জেলাতেও লাফিয়ে করোনা বাড়তে দেখে আগে থেকে তৈরী করা হাসপাতালগুলি(Hospital) ছাড়াও অতিরিক্ত অতিরিক্ত আরও দুটি হাসপাতালকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তৈরী করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা শাসক৷ তবে রবিবার পর্যন্ত যেখানে জেলাতে ২ জন মাত্র করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিল সেখানে সোমবার দুপুরের মধ্যেই ১৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। পরিস্থিতি দেখে মেদিনীপুর ও খড়গপুর মিলিয়ে মোট ১২ টি মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন(Micro Containment Zone) ঘোষণা করেছে প্রশাসন৷ আর তাতেই বেড়েছে উদ্বেগ।
এদিকে করোনা সংক্রান্ত জরুরি পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে সোমবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুর নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছিল জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর ৷ সেই বৈঠকে জেলাতে অকাধিক নতুন উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে জেলা শাসকের পক্ষ থেকে৷ জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: ভুবন চন্দ্র হাঁসদা জানিয়েছেন জেলাতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, খড়গপুর হাসপাতাল,ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল মিলিয়ে মোট ২৬০ টি বেড প্রস্তুত করা ছিল৷ তারপরেও পরিস্থতি বিচার করে জেলাতে ডেবরা হাসপাতাল ও শালবনী হাসপাতালকে করোনা সংক্রান্ত সমস্ত পরিষেবার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তৈরী করতে বলা হয়েছে৷ প্রতি ব্লকে ১০ থেকে ২০ টি বেডের সেফ হোম তৈরী করতে বলা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। সেই সংক্রান্ত বিষয়ে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ চলছে৷ তবে এর বাইরেও খড়্গপুর আইআইটিতে ৬০ জন করোনা আক্রান্ত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ তাতেও নতুন করে উদ্বেগ বেড়েছে জেলার স্বাস্থ্য মহলে।
অন্যদিকে সপ্তাহান্তে পাওয়া রিপোর্ট অনুসারে পশ্চিম মেদিনীপুরে ১০৮ জন করোনা আক্রান্ত ছিল৷ যার মধ্যে ২ জন মাত্র হাসপাতালে ভর্তি ছিল। রবিবার রাতে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ১৫ জন৷ সোমবার রাতের পাওয়া রিপোর্টে দেখা যায় জেলা জুড়ে ৮৩ জন করোনাতে আক্রান্ত৷ মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ১৩ জন ভর্তি হয়েছে বলে জানা যায়৷ এমতাবস্থায় জেলার প্রতিটা ব্লকে করোনা বিধি পালনের উপর নতুন করে জোর দেওয়া হয়েছে সোমবার পর্যন্ত করোনা বিধি অমান্য করাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে মোট ৪৫৬ জনের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ সর্বত্রই চলছে কড়া নজরদারি।