CPIM in WB : টিকাকরণের বর্ষপূর্তি থেকে দলবদল, পুরভোটের আবহে মোদী-মমতাকে একযোগে তোপ সুজনের

আগের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের আসানসোল, শিলিগুড়ি, চন্দননগর এবং বিধাননগর পুরসভায় ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। ২৫ জানুয়ারি ছিল ফল ঘোষণার দিন। কিন্তু বর্তমান করোনা পরিস্থিতির জেরে ৩ সপ্তাহ পিছিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি হবে ৪ পুর নিগমের নির্বাচন।

Jaydeep Das | Published : Jan 16, 2022 11:23 AM IST

রবিবারই একবছরের টিকাকরণের বর্ষপূর্তি হয়ে গেল ভারতে (Anniversary of Vaccination in India)। আর সেই উপলক্ষ্যে গোটা দেশবাসীকে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি দেশের স্বাস্থ্য কর্মীদের টিকাদানের মধ্য দিয়ে প্রথম ভারতে করোনা টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু। যদিও এই দিনেও মোদীকে তুলোধন করতে ছাড়ল না বামেরা। টিকাকরণ (Corona Vaccination) কর্মসূচি নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা গেল সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে (CPIM leader Sujan Chakraborty)। সুজনের কথায়, বিজ্ঞাপন আছে কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না। সবাইকে টিকা দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। তথ্যের কারচুপি করা হচ্ছে বহুলাংশে। আদপে বহু মানুষ ভ্যাকসিনই পাননি। দেশ ও রাজ্য পুরোপুরি ফেল করেছে। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন বিপদ বাড়ছে। মৃত্যুর হার বেড়েছে। কিন্তু সেদিকে কারও কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ভুমিকাও ঠিক নয়। গঙ্গাসাগর মেলার কারণে আরও করোনা বাড়বে। যদিও মানুষ আগের থেকে সচেতন হয়েছেন।

অন্যদিকে পুরভোট পিছানো নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ভোট পেছানোর কোনো মুল্য নেই। কোভিড আতঙ্কে ভোট হয় না। তখন বিজেপি স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। শুধু দোলাচল বাড়ছিল। এদিকে এবার কোর্টের কথা মান্যতা দেয়নি কমিশন। তৃণমূলের বক্তব্যকে মান্যতা দিয়েছে কমিশন।অন্যদিকে রাজ্যের চলমান লকডাউন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় সুজনকে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সত্যি করে দেখতে গেলে বিধিনিষেধ মূল্যহীন। স্থানীয় বাজার বন্ধ করা হচ্ছে। অথচ মেলা চলছে। এই জায়গায় রাজ্য সরকারের ভুমিকা একদমই ঠিক নয়। আসলে পুরোপুরি ভাবে সরকারি অর্থের অপচয় করা হচ্ছে। মানুষ সচেতন বলে বিপদ অনেকটাই এড়ানো যাচ্ছে।

আরও পড়ুন-কুচকাওয়াজে বাদ নেতাজি ট্যাবলো, কেন্দ্রের অভিসন্ধি নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে TMC

অন্যদিকে বিজেপি নেতাদের দলবদল নিয়েও কটাক্ষ শানাতে দেখা যায় বাম নেতাকে। এই প্রসঙ্গে গেরুয়া শিবিরের দিকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, এখন তো বিজেপি পছন্দ না হলে তৃণমূল, তৃণমুল পছন্দ না হলে বিজ্রপি। চুড়ান্ত নীতিহীনিতা করছে দুই দলের মধ্যেই। আদপে ক্ষমতার লড়াইয়ে মেতেছে ওরা।এদিকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের আসানসোল, শিলিগুড়ি, চন্দননগর এবং বিধাননগর পুরসভায় ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। ২৫ জানুয়ারি ছিল ফল ঘোষণার দিন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ৩ সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি হবে ৪ কর্পোরেশনের নির্বাচন। সম্প্রতি এই তুন ঘোষণা করেছে কমিশন।

 

Share this article
click me!